প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসে জাতীয় পতাকা উড়লেও অফিস থাকে তালাবদ্ধ। একজন মৎস্য কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে চলছে আয়তনে ও জনসংখ্যায় জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা ফরিদগঞ্জ। বিভিন্ন কারণে এখানে কাজও বেশি। তাই একজন জনবল দিয়ে দপ্তরটি চালাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। সাধারণ লোক কাজে গিয়ে ফেরত আসতে হয় তালাবদ্ধ থাকার কারণে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অফিস খোলার সঠিক সময়ে জাতীয় পতাকা উড়লেও অফিস থেকেছে তালাবদ্ধ।
জানা গেছে, সারাদেশে মাছ উৎপাদনে ফরিদগঞ্জ উপজেলার অবস্থান সেরা পাঁচের মধ্যে। এখানে রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প, তেলাপিয়া, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস উৎপাদন হয়। সরকারি হিসেবে এ উপজেলায় ৪৫টি সরকারি পুকুর, ৪৮০টি বেসরকারি পুকুর, ১৩টি খাল, ১০টি দিঘি, ২৯টি ঝিল রয়েছে। যাতে ৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়।
অফিস সূত্র জানা যায়, এ দপ্তরে অনুমোদিত পদ সংখ্যা হলো ৫টি। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১ জন। অবশিষ্ট ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদগুলো হলো : উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ১ জন, ক্ষেত্র সহকারী ১ জন, অফিস সহকারী ১ জন, অফিস সহায়ক ১ জন। এছাড়া দপ্তর আঙিনায় মৎস্য খামার থাকায় একজন পাহারাদারের প্রয়োজনও রয়েছে। দীর্ঘদিন এ পদগুলোতে লোকবল না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে অসুবিধা হচ্ছে। দপ্তরটি তালা খোলা থেকে পতাকা উত্তোলনসহ সকল কাজ একজনকে সামাল দিতে হয়। ফলে সময় মতো কাজগুলো করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
এদিকে মাছ চাষ করে সফলতা অর্জনকারী সালেহ আহমেদ, জসিম মেম্বার কাদের মিজি বলেন, মৎস্য অফিসে লোকবল না থাকলেও মৎস্য অফিসার ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজখবর রাখেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। যদিও এটি কথার কথা।
উল্লেখ্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সঙ্কটের বিষয় অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু ত্বরিৎ সাড়া মিলছে না।