প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মেঘনার ভাঙ্গণে ভিটে-মাটি হারানো এক অসহায় পরিবারের ছেলে পলাশ। কোনো আশ্রয় না পেয়ে বর্তমানে চাঁদপুর শহরের ঘোষপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকছে। বাদাম বিক্রেতা বাবার এই হতভাগা ছেলে জন্মগতভাবেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। রয়েছে তার মেধার ভা-ার। বাম চোখে সমস্যা নিয়ে পলাশ জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে করেছেন ভালো ফলাফল। কিন্তু সদ্য ঘোষিত গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পেলেও তা সুস্পষ্ট দেখতে পাননি পলাশ। এ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও লেখক আশিক বিন রহিম।
রাতে আপলোড করা সংবাদকর্মীর এমন মানবিক পোস্টটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎসজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভয়েস বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিটি নিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহানের। তিনি উক্ত সংবাদকর্মীর সাথে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় যোগাযোগ করে সংবাদকর্মীর মাধ্যমে ঐ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পলাশ ও তার পরিবারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন। সেই সাথে অসহায় এ পরিবারটির খোঁজ-খবর নিয়ে পলাশের চোখের উন্নত চিকিৎসায় এবং পড়ালেখার খরচ বহনে সহায়তা করবেন বলে আশ^াস দেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পলাশ জানান, মেঘনার ভাঙণে বসতভিটে হারিয়ে তার পরিবার চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার ঘোষপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। পিতা শ্যামল দে পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। জন্ম থেকে বাম চোখে সমস্যা থাকালেও সে নিজে নিজেই পরিক্ষায় খাতায় লিখে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পাস করেছেন। চিকিৎসার অভাবে বর্তমানে ডান চোখে দৃষ্টিও ক্ষয়িষ্ণু হতে চলেছে। এ বছর চাঁদপুর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে শ্রুতি লেখকের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের রেজাল্ট হাতে এলেও ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টির কারণে নিজের সেই কাঙ্খিত ফলাফল স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না।
এছাড়াও চাঁদপুর সদর-হাইমচরের এইচএসসি পাস করা অসহায় দশ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি ও অনার্সে ভর্তি হওয়ার সম্পূর্ণ খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
রেদওয়ান খান বোরহান জানান, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে অসহায় পলাশের বিষয়টি জানতে পারি। পরে সকালেই সংবাদকর্মী আশিক বিন রহিমের মাধ্যমে পলাশের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি আমার ব্যক্তিগত অর্থে পলাশের উন্নত চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবো বলে জানিয়েছি। পাশাপাশি পলাশের পড়ালেখার খরচ আমি বহন করবো।