প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
কচুয়ায় মাইক্রোবাস চালক তৌহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় মোঃ শুকুর আলম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত শুকুর আলম মৃত তৌহিদুল ইসলামের পাশর্^বর্তী বক্তার বাড়ির মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হয়। পরদিন শুক্রবার দুপুরে কড়ইয়া শীল বাড়ির পাশের উধরা খালে কচুরিপানার ভেতর ক্রিকেট বল খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় ছেলেরা তৌহিদুল ইসলামের ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে মৃত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৩/৫৭।
কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন শুকুর আলমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে শুকুর আলমকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার তাকে কোর্টে সোপর্দ করার মধ্য দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শুকুর আলমের রিমান্ডের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে তৌহিদুল ইসলামের নিকটাত্মীয়-স্বজনদের কান্নার আহাজারি যেন থামছে না। গতকাল শনিবার বিকেলে তার বাড়িতে গেলে তার বাবা আশেক আশেক আলী, মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী সেলিনা বেগম, জমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন (১০) কান্নাজড়িত কণ্ঠে তৌহিদ হত্যাকীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। তাদের বুকফাটা কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
এদিকে তৌহিদুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। শনিবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।