প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের মরহুম আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কস্থ চাঁদ নগর আবাসিক হোটেল থেকে চাকুরির নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সজিব রানা (১৯)কে একই উপজেলার গাররা গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র রেজাউল করিম (৩৮) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি দেয়ার নামে ১৫ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে নগদ ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এবং বাকি ৫ লাখ টাকা চাকুরি হওয়ার পর দেয়া হবে এ মর্মে একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লেখা হয়। এজন্যে বাকি ৫ লাখ টাকার জন্য একটি চেকও দেয়া হয়।
এক পর্যায়ে রেজাউল করিম সজিব রানাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগপত্র হাতে দিলে উক্ত নিয়োগপত্র নিয়ে সেনা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে সেটি ভুয়া বলে প্রমাণ হয়।
এরপর এ প্রতারক চক্র সজিব রানাকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধীনে চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরে কম্পিউটার অপারেটর পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার নামে পুনরায় আরো ৩ লাখ টাকা চুক্তি করে নগদ দেড় লাখ টাকা লেনদেন করে চাঁদপুরে আসে।
এ প্রতারক চক্রের আরো ২ জনসহ মোট ৩ জন চাঁদপুরে এসে চাঁদপুর শহরের আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কস্থ চাঁদ নগর আবাসিক হোটেল উঠে। শুধু তা-ই নয়, ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র দেয়া হবে এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে সজিব রানাকেও চাঁদপুরে নিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে সজিব রানা দুপুরে হোটেল থেকে বের হয়ে হোটেল সম্মুখে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলে এই নিয়োগের বিষয়টিও ভুয়া বলে জানালে সজিব রানা আবাসিক হোটেল মালিকের সহযোগিতায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে এই প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে পুলিশ আটক করে।
আটক ৩ প্রতারক সদস্যরা হলো : রেজাউল করিম (৩৮) পিতা-নজরুল ইসলাম, সাং গাররা, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী; জাহিদুল ইসলাম (৩২) পিতা-মনজুর ইসলাম, গাররা গ্রাম, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী এবং শফিকুল ইসলাম (৩৪) পিতা-নাজিম উদ্দীন, সাং ধররোয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।