বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে স্কুল মাঠের উপর পাকা সড়ক ॥ ব্যাহত সহশিক্ষা কার্যক্রম
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

শিশুদের মূল বিকাশই হয় খেলাধুলার মাধ্যমে। পড়ালেখার বাইরে খেলার মাঠে শিশুরা দৌড়াবে ও খেলবে। তবেই না শিশুরা ভালো থাকবে। আর আনন্দের মাধ্যমে শেখাটাই হলো প্রকৃত শেখা। ভিন্নতা রয়েছে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের চরকুমিরা গ্রামে চরকুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাঠের উপর দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যাওয়ায় মাঠ ছোট হওয়ার সাথে সাথে ভয় ও আতঙ্কে বিদ্যালয়টির সহশিক্ষা কার্যক্রম এক প্রকার গৃহবন্দী।

জানা গেছে, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চরকুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। নিয়মানুযায়ী ৩৪ শতক জমি থাকলেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের পর অবশিষ্ট জায়গার মধ্যে দিয়ে ফরিদগঞ্জ থেকে গোয়ালভাওর সড়ক ও একটি ডোবা জমি রয়েছে। ফলে মাঠ না থাকায় শিশুদের খেলাধুলা অনেকটা শ্রেণিকক্ষেই সীমাবদ্ধ থাকে। ছোট্ট মাঠে জাতীয় সঙ্গীত, শপথ বাক্য পাঠ করানো হলেও তেমনভাবে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা হয় না।

এলাকাবাসী জানায়, জনগণের প্রয়োজনে সড়ক হলেও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জরুরি। এলাকাবাসীর দাবি, ডোবার ভরাট করলে শিশুদের খেলাধুলার স্থান হতো।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তাদের লেখাপড়ার মান ভালো থাকলেও পিছিয়ে পড়ছে সহশিক্ষা কার্যক্রম আর শারীরিক শিক্ষায়। ফলে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হচ্ছে না কোমলমতি শিশুরা। মাঠের অভাবের কারণে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে তারা।

বিদ্যালয় এসএমসি কমিটির সভাপতি মোঃ নেছার আহমেদ জানায়, মাঠের অভাবে বিদ্যালয়টিতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয় স্বল্প পরিসরে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কর্মকা- থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঠিকমত খেলাধুলার অভাবে শিশুরা পড়াশোনায় অমনযোগী হয়ে পড়ছে। হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ের ডোবা ভরাট করলে সড়কটি ঘুরিয়ে নিলে আমাদের মাঠ পর্যাপ্ত বড় হবে। আমি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্যে মাননীয় এমপি মহোদয় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, দ্রুত বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও ডোবা ভরাট কাজ করার জন্য জনপ্রতিনিধির সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়