প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
দখল-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে বিদ্যাবতী খাল। চাঁদপুর শহর এলাকাধীন পৌর ১৩নং ওয়ার্ডের টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয় ঘেঁষা খলিশাডুলী এলাকায় গ্যাস কোম্পানী রোড এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যাবতী খালটি স্থানীয় বাসিন্দাদের অবাধ দখল ও ভরাটের প্রতিযোগিতার কবলে পড়ে এর অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের গ্যাস কোম্পানী রোড হতে টেকনিক্যাল স্কুলের উত্তর পাশের ব্রিজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার খালটির দুপাশে কোথাও কোথাও পাকা দেয়াল করে, কোথাও বাঁশের পাইলিং দিয়ে আবার কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটিকে সরু নর্দমায় পরিণত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি মহল সরকারি খালটির ভূমি জবরদখলের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা খালটির অস্তিত্ব রক্ষা করে সরকারি ভূমি উদ্ধারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যদি পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে নজরদারি করা না হয় তাহলে রুখবে তাদের কে? এমন প্রশ্ন ছুড়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
ফয়সাল ও ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা দিয়ে খাল ভরাট হচ্ছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষের। অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে একাকার হয়ে যায় পথ-ঘাট। পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষায় এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।
উক্ত এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল কাদের পাটোয়ারী জানান, এই বিদ্যাবতী খাল দিয়ে আগে নৌকা চলাচল করতো, খালে মাছ ধরা যেতো। আবার যার যার বাড়ির পাশেই খালের পানিতে পরিবারের প্রাত্যহিক কাজগুলো করা হতো। এখন সেটা অতীত। বর্তমানে হচ্ছে খাল দখল। কে শুনে কার কথা।
এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলমগীর গাজীর সাথে। তিনি জানান, আমি নিজেই ক’জনকে অবৈধভাবে খাল দখল করতে বারণ করেছি। আমার সামনেই তারা বারণ মেনে খাল দখল বন্ধ করেছে। কিন্তু আবার রাতের অন্ধকারে খালের উপর বিভিন্নভাবে বাঁশের চালি, কেউবা দেয়াল টেনে খাল দখল করে চলছে। খাল খনন বিষয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করবো এবং অতি দ্রুত এ কাজটি হোক সেটা আমরাও চাই।