রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

আদালতে রেহান মিজি হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোডের খান সড়কে শারমিন ভিলার ৩য় তলার ভাড়াটিয়া শরীয়তপুরের বাসিন্দা, ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ী রেহান মিজি হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানা যায়, গত বছরের ২৪ জুন রেহান মিজি (৬০)কে হত্যার ঘটনার ৪ মাস পর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ইন্টেলিজেন্স এন্ড অপারেশন) এনামুল হক চৌধুরী দীর্ঘ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা চার্জশীট আদালতে দাখিল করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশীটে উল্লেখ করেন, নিহত রেহান মিজি হত্যার পর তার মোবাইল কল লিস্ট এবং উক্ত সড়কের জনৈক বাসিন্দার বাসার সম্মুখে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মূলত আসামী শনাক্ত করে আটক করেন। এরপর আটক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, রেহান মিজিকে হত্যার মূল কারণ হচ্ছে জুয়া খেলা। তিনি প্রায়ই জুয়া খেলায় জয়ী হতেন। তার সাথে জুয়া খেলতেন এই মামলার একমাত্র আসামী এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী মোঃ খোরশেদ আলম (২৭) (পিতামৃত-মোস্তফা ভূঁইয়া, সাং শেফালী পাড়া, রামগঞ্জ, লক্ষীপুর জেলা)। জুয়া খেলায় হেরে যাবার ক্ষোভে খোরশেদ একাই হত্যার পরিকল্পনা করে রেহান মিজিকে জুয়া খেলার জন্যে বলে। উক্ত খেলায় খোরশেদ ৫০ হাজার টাকা হেরে গিয়ে রেহান মিজির সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সে দা দিয়ে কুপিয়ে রেহান মিজিকে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে উক্ত বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার পর রেহান মিজির স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হত্যার ঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ উক্ত ঘাতক খোরশেদ আলম ছাড়াও আরো ৪ জনকে আটক করে, যাদেরকে আসামী করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্টে এবং ঘাতক খোরশেদের জবানবন্দির কারণে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। ফলে এ ঘটনার মূল আসামী এবং একমাত্র আসামী ঘাতক খোরশেদ জেল হাজতে রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়