প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মাঘের শেষ দশকে এসে প্রবল বৃষ্টিপাতে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। হালকা থেকে মাঝারি, পরে মুষলধারে বৃষ্টি। সাথে দমকা হাওয়া এবং বজ্রপাত। শীতের এমন আবহাওয়ায় জনজীবন যেনো থমকে গেছে।
মাঘে এমনিতেই হাড় কাঁপানো শীত। তার সাথে মুষলধারে বৃষ্টিতে শীত আরো জেঁকে বসেছে। এমন অবস্থায় ছিন্নমূল মানুষগুলোর খুবই দুর্বিষহ অবস্থা। খোলা আকাশের নিচে শীতে তারা জবুথবু হয়ে রাত কাটায়। গতকাল শুক্রবার চাঁদপুরের আবহাওয়ার পরিস্থিতি ছিল এ রকম।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রখর রোদ ছিল। রোদের কারণে শীতের প্রকোপ জনজীবনে তেমন একটা প্রভাব ফেলেনি। দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পরিবেশ পুরো কালো হয়ে আসে। মনে হচ্ছিল কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস। দুপুর দেড়টার দিকে মুসল্লিরা যখন জুমার নামাজ আদায়ের জন্যে জামাতে দাঁড়ায়, তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামতে থাকে। আস্তে আস্তে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত হালকা ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হয়। সাথে বাতাসও ছিল। বৃষ্টি এবং বাতাস দুটোই মিলে শীত আরো বেশি জেঁকে বসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। থেমে থেমে রাত ১০টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। সাথে বাতাস এবং বজ্রপাতও ছিল।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল চাঁদপুরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র থেকে আরো জানা যায়, চাঁদপুরসহ আরো কয়েকটি জেলায় আরো কয়েকদিন আবহাওয়ার এমন অবস্থা থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুরসহ কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।