হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্যকে (মেম্বার) শ্লীলতাহানীর ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল আলম অরুণের (৩৮) বিরুদ্ধে ডায়েরিটি করেন একই পরিষদের সাবেক সদস্য লুৎফা বেগম (৪৩)। ডায়েরি নং- ১৪০৬/ ২৬.০১.২০২২ খ্রিঃ। এতে সাক্ষী করা হয়েছে বর্তমান ইউপি সদস্য হান্নানসহ তিনজনকে। লুৎফা বেগম বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের বড় বাড়ির কামাল হোসেন বুলুর স্ত্রী ও রবিউল আলম অরুণ একই গ্রামের আঃ বারেকের ছেলে।

লুৎফা বেগমের দায়ের করা ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি লুৎফা বেগম ব্যক্তিগত কাজে ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল আলম অরুণ সাবেক এই নারী সদস্যকে দেখে উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। তখন এই নারী সদস্য গালমন্দের প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে রবিউল আলম অরুণ মারধর করতে উদ্যত হলে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান।

এ সময় বিবাদী রবিউল আলম অরুণ বাদী লুৎফা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে না যাওয়াসহ উক্ত ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মান-সম্মানহানি করার হুমকি দেন। লুৎফা বেগম নিরাপত্তাহীনতার কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।

পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে রবিউল আলম অরুণ চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, পরিষদে সেবা নিতে আসা অনেকের সামনে ঐ নারীর সাথে আমার কথা হয়েছে। মূলত সাবেক এই নারী সদস্য এলাকার লোকজনের কাজ করে দিবে বলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় যা আমাদের পরিষদের বদনাম হয়। এ জাতীয় কাজ না করার জন্য তাকে আমি নিষেধ করেছি মাত্র।