প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলরূটে নতুন ট্রেন দেয়া হচ্ছে। এই সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্রুতগতি সম্পন্ন নতুন ইঞ্জিনের ট্রায়াল দেয়া হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে এই ইঞ্জিনটি ট্রায়াল দিতে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। এ সময় চাঁদপুরের মিটারগেজের এই রেলপথে নতুন ইঞ্জিনটি চলাচলের উপযুক্ত কি-না তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল চাঁদপুর সফর করেন।
প্রতিনিধি টিমে ছিলেন ডিআরএম চট্টগ্রাম শামস আরফিন তুষার, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মোঃ আবু হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোঃ আমসার আলী, বিভাগীয় সিগন্যাল এন্ড টেলিকম প্রকৌশলী তন্ময় পাটওয়ারী, আরএনবি কমান্ডেন্ট শফিকুর রহমান ও ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোঃ লিয়াকত আলী।
রেলওয়ে বিভাগ থেকে জানা যায়, সারাদেশে মিটার গেজে চলাচলের জন্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি ইঞ্জিন আনা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুরে ১টি ইঞ্জিন ট্রায়ালে এসেছে। অন্য ইঞ্জিনের চেয়ে এটি লম্বা, উচ্চতায় বড় ও ওজনেও বেশি। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইঞ্জিনটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ৩টি সাদা কোচসহ পৌঁছায়। সাদা কোচটিও ইঞ্জিনের সাথে ট্রায়ালের জন্যই এসেছিলো। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার।
তিনি বলেন, নতুন ইঞ্জিনটি অত্যাধুনিক হওয়ায় এতে এসি সুবিধা রয়েছে। ইঞ্জিনটির হর্স পাওয়ারও বেশি। এই ইঞ্জিনগুলো কোরিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হতে পারে চাঁদপুরের মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা নামের ট্রেন দুটিও। দ্রুতগতি সম্পন্ন এই ইঞ্জিনের সুবাধে নতুন ট্রেন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চাঁদপুরবাসীর।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর চট্টগ্রাম রেলপথে শুধুমাত্র মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা নামের ২টি ট্রেন চলাচল করছে। কিছুদিন চাঁদপুর কুমিল্লা রূটে ‘ডেমো ট্রেন’ চলাচল করলেও করোনাকাল হতেই তা বন্ধ রয়েছে।