প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গৌরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ সড়কটি যেনো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের দিক থেকে সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যানবাহনগুলো ঢাকা যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে চলাচল করে আসছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলো ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙে যাচ্ছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৪২ কিলোমিটার এ সড়কের কচুয়া উপজেলার উত্তর সীমান্তের বারৈয়ারা হতে কচুয়া সদর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। কোনো কোনো স্থানে গর্ত পুকুরসম রূপ ধারণ করেছে। এছাড়া পুকুর ও খাল অংশে কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশের অংশ দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান হচ্ছে সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর সংলগ্ন পোদ্দার পুকুর পাড়, কলাকোপা ভূঁইয়া প্রজেক্ট সংলগ্ন, সাজিরপাড় মসজিদ সংলগ্ন, তুলতুলীর মোড় ও বাইছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক অংশ। সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর সংলগ্নে উভয় পাশে (পশ্চিম পাশে পুকুর ও পূর্বপাশে খাল) প্রায় ৫০ ফুট সড়ক দেবে যাওয়া ছাড়াও প্রায় ২০০ গজ সড়কের খুবই বেহালদশা। এ বেহালদশা ও দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের ঝুঁকি এড়াতে ১২টি বাঁক সরলিকরণ, ৪টি কালভার্ট ও ১টি ব্রিজসহ সড়ক নির্মাণের জন্যে ইতোপূর্বে ২৫ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সড়ক পাকাকরণের দুবছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা।
সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী গাড়ি চালকগণ জানান, নি¤œমানের কাজ হওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গিয়ে স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না গাড়িগুলো। শিগগিরই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও সৃষ্টি হওয়া গর্ত মেরামত করা না হলে এ সড়ক ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গৌরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ রাস্তা মেরামতের কাজের বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী সামসুজজোহা মুঠোফোনে জানান, ভাঙ্গা অংশের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অচিরেই যাত্রীদের সমস্যা লাঘব হবে। স্থানীয়রা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তার মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।