বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

মেয়াদ শেষে জেলা পরিষদে বসবেন প্রশাসক, বিল উত্থাপন
অনলাইন ডেস্ক

মেয়াদ শেষ হলে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবেন। এমন একটি বিধান রেখে জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে।

জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০২২ নামে বিলটিতে বিদ্যমান আইনের মতো প্রতি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং ৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের পরিবর্তে জেলার অন্তর্গত উপজেলার সমান সংখ্যক সদস্য এবং এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত সদস্য নিয়ে পরিষদ গঠন হবে।

এদিকে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা তৈরির কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে উপজেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার ও মেয়র পরিষদের সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

রোববার ২৩ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আইনটি সংসদে তুললে ৭ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট সংসদে উত্থাপনের সময় নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, চলতি সংসদেই এই বিলটি পাস হতে পারে। আর এটা সম্ভব হলে দেশের বর্তমান জেলা পরিষদগুলোতে প্রশাসক বসানো হবে। চলতি মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সবগুলো জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হতে চলছে।

বিদ্যমান আইন ও প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচকম-লী (ভোটার) একই ধরনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রণয়ন করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত আইনে সেটা বলা হয়নি।

আইন অনুযায়ী জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ জেলা পরিষদের ভোটার।

জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলায় একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ নারী সদস্য অর্থাৎ মোট ২১ সদস্যের পরিষদ রয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় (জেলার মোট উপজেলার সমানসংখ্যক) একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যা) নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

বিলে নতুন ৩৩ (২ক) উপধারা যুক্ত করে জেলার অন্তর্গত উপজেলা জেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌরসভার মেয়র এবং প্রযোজ্যক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পরিষদের সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে বলা হয়েছে। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

প্রস্তাবিত আইনে জেলা পরিষদের কার্যক্রম সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের ৩৭ ধারার পর ৩৭(ক) যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরিষদ প্রতি অর্থবছর শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে সম্পাদিত কার্যাবলির ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে। সূত্র : অনলাইন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়