প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
শীতেও বেশি কমেনি সবজির দাম
শীতেও সবজির দাম বেশি কমেনি। মধ্য ও নি¤œবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে এখনো রয়েছে সবজির দাম। গত কয়েক মাস ধরেই ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন যে, বাজারে শীতের সবজি আসলেই দাম কমে যাবে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম কমেনি। বাজারে এক কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর হাইব্রিড জাতীয় শসা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দেশি শসার কেজি ৬০ টাকা। গতকাল শুক্রবার চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
|আরো খবর
প্রতি কেজি গাঁজর ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, খিরা ৪০ টাকা, শিম মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কইডা ৪০, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, নতুন আলু ১৬ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, হাইব্রিড করলা ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। পেঁয়াজের ফুলের দাম ৩০ টাকা কেজি। একই সঙ্গে নতুন পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ৪০ টাকা, আদা চায়না ১০০ টাকা, দেশী ৬০টাকা এবং ডিমের ডজন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পালবাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল হাশেম বলেন, বছরজুড়ে বরবটি চাষ হলেও শীতের সময় কিছুটা কম উৎপাদন হয়। তাই বাজারে বরবটির দাম সবচেয়ে বেশি। দেশি শসার উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দাম বেশি।
অন্যদিকে শীতেও সবজির দাম কিছু কমেছে জানিয়ে পালবাজারের সবজি বিক্রেতা রুবেল ঢালী বলেন, শীত আসার আগে সবজির দাম খুবই বেশি ছিলো। আগের তুলনায় দাম এখন কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য বছরের মতো খুব বেশি কমেনি। এর কারণ পরিবহন ভাড়া বেশি। আমরা সবজি কিনতে গেলে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতার হাত পর্যন্ত এসব সবজি পৌঁছানো পর্যন্ত একটু বেশি দাম পড়ে যাচ্ছে।
একই বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আলআমিন বলেন, অন্যান্যবার শীতে সবজির দাম অনেক কম থাকতো। এবার শীতে সবজির দাম সেভাবে কমেনি। সব সবজিই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের কথা না হয় বাদই দিলাম। আগে বাজারে আসলে সেসব সবজি এক কেজি করে কিনতাম, এখন দাম শুনে আধা কেজি করে কিনি।