প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
জমি কিনে ভূমিখেকোর আক্রোশের শিকার হয়েছেন ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। পালিয়ে বেড়িয়েছেন প্রায় ২০ বছর। এক পর্যায়ে বোরকা পরে রাতের অন্ধকারে এলাকাছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। জমির দখল নিতে তিনি ঘুরেছেন নানাজনের দ্বারে দ্বারে। জমির দখল ধরে রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন। পাচ্ছেন না সুবিচার। গতকাল ১৭ জানুয়ারি সোমবার ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এমনই অভিযোগ করেছেন জমির মালিকানা দাবিদার আবদুস ছাত্তার। ঘটনাটি উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণি দুর্গাপুর গ্রামের মদিনা বাজার এলাকার।
লিখিত বক্তব্যে আবদুস ছাত্তার বলেছেন, গ্রামের নূর মোহাম্মদ বেপারী পৈত্রিক সূত্রে সম্পত্তির মালিক। তিনি ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২নং দলিল মূলে স্ত্রী বেলায়েতেননেছাকে ওই জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। বেলায়েতেননেছার নামে জমির বিএস রেকর্ড হয়েছে। ২০০০ সালে বেলায়েতেননেছার কাছ থেকে সাবকবালা দলিলের মাধ্যমে আমি ১০ শতাংশ জমির মালিকানা গ্রহণ ও ভোগ দখলকার হই (দলিল নং ৩৮৩৫, ২০ এপ্রিল ২০০০ খ্রিঃ)।
কিন্তু হঠাৎ করে এলাকার সন্ত্রাসী ও নানা অনৈতিক কাজের হোতা মোঃ আজিজুর রহমান ওই জমির মালিকানা দাবি করেন। আজিজুর রহমান দাবি করেন, ১৯৯৪ সালে তিনি বেলায়েতেননেছার স্বামী নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ওই জমির সাবকবলা দলিল সৃজন করেছেন, যার কোনো বৈধতা নেই। কারণ, জমির মালিক নূর মোহাম্মদ স্ত্রী বেলায়েতেননেছাকে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলে দেয় মালিকানা এখনও বিদ্যমান। ফলে বেলায়েতেননেছার কাছ থেকে সাবকবলা দলিল মূলে আমি এখন প্রকৃত মালিক। এদিকে এলাকার সালিস ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চেয়েছেন স্ত্রী বেলায়েতেননেছার নামে দানপত্র দলিল অবৈধ কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বারংবার সময় চেয়ে কোনো জবাব দেননি। আবদুস ছাত্তার বলেন, ১৬ জানুয়ারি সকালে জমিতে নির্মাণ কাজ করতে গেলে আজিজুর রহমান দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা করে ও আমার দোকানের আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, জমির মালিকানা দাবি করলে আমাকে জীবনে খুন করে ফেলবে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি যে কোনো সময় আমার বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।