প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরে ইউপি নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি
৯ আওয়ামী লীগ ২০ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র
চাঁদপুর জেলার কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলার ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ২৯টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৯ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ২০ জন বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র বিজয়ীদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীও রয়েছেন। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত থাকায় তারা স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
|আরো খবর
গতকাল ৫ জানুয়ারি বুধবার ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়া উপজেলার ১২, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৩ ও হাইমচর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গতকাল এ ২৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় যে, ২৯টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করে মাত্র ৯ জন। বাদবাকি ২০ জন হচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভোটার, বিজয়ী এবং বিজিত সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিন উপজেলার নির্বাচনে ছিলো না কোনো কেন্দ্র দখল, জালভোটের ছড়াছড়ি কিংবা কোনো ধরনের কারচুপি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুরো প্রশাসন এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা শতভাগ নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নির্বাচনকে অবাধ এবং সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করেছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা পেশিশক্তির বলে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন শক্ত হাতে তা দমন করেছে। এককথায় লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখা গেছে গতকালকের ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
তিন উপজেলার ২৯টির ইউপির মধ্যে উপজেলাভিত্তিক বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন ফরিদগঞ্জের ১৩টির ৪টি আওয়ামী লীগ, ৬টি স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী ৪ জন। কচুয়া উপজেলার ১২টির ৪টি আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী ৮টি। হাইমচর উপজেলার ৪টির মধ্যে ২টি আওয়ামী লীগ ও ২টি স্বতন্ত্র।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবির ব্যাপারে প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের মতামতকে উপক্ষো করার জবাব হিসেবে দেখছে সচেতন মহল।