প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০
করোনার ঊর্ধ্বগতি দুর্বল না হলেও লকডাউন যেনো ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। প্রথম সাতদিনের শুরুর দিকে ৩/৪ দিন লকডাউন তথা কঠোর বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হতে দেখা গেলেও পরে আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে। এখন অনেকটা ঢিলেঢালা। চাঁদপুর শহরের গতকালকের চিত্র দেখে তাই মনে হলো। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যেনো কিছুটা শিথিলতা দেখাচ্ছে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা তো বাড়ছেই উপরন্তু এখন যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। বিধিনিষেধ ছিল জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলবে না, কিন্তু এখন রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী যেমন রড়, সিসেন্ট, টিন ইত্যাদি মালামাল নিয়ে যানবাহন চলছে বিনা বাধায়। চাঁদপুর শহরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকার কয়েকটি দোকানে রড়, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী ট্রাক ও পিকআপে লোড-আনলোড হচ্ছে। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কথা।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধকালে গতকাল চাঁদপুর শহরে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় অসংখ্য মানুষের চলাচল যেমনি দেখা যায়, একইভাবে রিক্সাসহ অন্য যানবাহনের সংখ্যাও অনেক বাড়তে থাকে। অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটার চলাচল করছে। আড়ালে-আবডালে কিছু দোকান খুললেও অনেককে মোবাইল কোর্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ি চলেছে নির্দ্বিধায়। দুপুরের দিকে শহরের পালবাজার থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট। অটোবাইক, রিক্সা, মালবাহী ট্রাক এবং ভ্যানগাড়ি ছিলো রাস্তা জুড়ে। পুরো রাস্তার দুই পাশজুড়ে ছিল শুধু ভ্যানগাড়ি আর ভ্যানগাড়ি। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে যেনো পালবাজার থেকে কালীবাড়ি মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ পুরোটাই বাজার। এসব ভ্যানগাড়ির চারপাশে প্রচুর মানুষের ভিড়। স্বাস্থবিধির কোনো বালাই নেই। তখন দেখা গেলো একটি মিনি ট্রাক রড বোঝাই করে যাচ্ছে এই সড়ক দিয়ে। চালকের কাছে জানতে চাওয়া হলো, কোন্ দোকান থেকে এনেছেন এগুলো? চালক বললেন, স্ট্র্যান্ড রোডের আজিজ ব্রাদার্স থেকে।
করোনা চাঁদপুর শহরে এখনো চরম ঊর্ধ্বগতি। শনাক্তের হার এখনো ৩০ শতাংশের উপরে। এ অবস্থায় এখন সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন যদি শিথিলতা দেখায়, তাহলে চাঁদপুরের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।