বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  •   ভারত-মিয়ানমার থেকে ৮৯৮ কোটি টাকার চাল কিনবে সরকার
  •   মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  •   মশার উপদ্রবে চাঁদপুর পৌরবাসী ॥ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
  •   শাহরাস্তিতে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৭

আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ

মানসিক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনের মৃত্যু সনদ উত্তোলন!

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট

চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলায় মানসিক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা রোডের মৃত আলী আশ্রাফ বেপারীর মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে ফারহানা আক্তার ঝুমুর (৩৯)। ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে ঝুমুরের মেজো ভাই প্রতারক আলী আফজাল বেপারী ওরফে পলাশ বেপারী কর্তৃক প্রচারিত হয়ে তার একমাত্র বোন ফারহানা আক্তার ঝুমুর নিখোঁজ হন। বোনকে খুঁজে পাওয়ার জন্যে পলাশ বেপারী ঝুমুরের ছবি সম্বলিত লিফলেট ও পোস্টার বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করেন। কিন্তু কাদির বেপারী বাড়ি ও গুয়াখোলার বাসিন্দারা জানেন, ঝুমুর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ঝুমুর নিখোঁজ হওয়ার ৭ মাসের মাথায় পলাশ বেপারী গোপনে ঝুমুর মৃত্যুবরণ করেছে বলে চাঁদপুর পৌরসভার কতিপয় কর্মচারীর সহযোগিতায় একটি মৃত্যু সনদ তৈরি করে নেন। মৃত্যু সনদে দেখা যায়, ঝুমুর ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ৮৪০ হোল্ডিংয়ে গুয়াখোলায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। কিন্তু ঝুমুরের মৃত্যুর বিষয়টি গুয়াখোলার বাসিন্দারা আজও জানেন না। তারা জানেন ঝুমুর নিখোঁজ হয়ে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় মানুষজনের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর পৌরসভায চতুর পলাশ বেপারী ওয়ারিশ সনদ উত্তোলন করার জন্যে যান। পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ ফারহানা আক্তার ঝুমুরের মৃত্যুর তথ্য জানার জন্যে এলাকায় যান। এলাকাবাসী জানান, ঝুমুর নিখোঁজ রয়েছে। সে বেঁচে আছে না মারা গেছে আমরা জানি না। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। এলাকাবাসী জানান, আলী আফজাল বেপারী ওরফে পলাশ বেপারী খারাপ ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। অর্থের জন্যে সে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। ব্যাংক-বীমায় থাকা টাকা ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্যে ঝুমুরের নামে মৃত্যু সনদ উত্তোলন করেন। এমনকি সম্পত্তির লোভে পলাশ বেপারী তার বড়োভাই আলী আজম বেপারী ওরফে বাদল বেপারী ও ছোট ভাই আলী আজগর বেপারী ওরফে জুয়েল বেপারীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যে তাদেরকে ঘরছাড়া করে রাখেন। তারা ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। এ নিয়ে মোঃ খলিল বেপারী গত ৩০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার অনুলিপি দিয়েছেন চাঁদপুর পৌর প্রশাসক ও চাঁদপুর কণ্ঠের সম্পাদককে। একটি সূত্র জানায়, ফারহানা আক্তার ঝুমুর মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার জন্যে হয়তো পলাশ বেপারী তাকে হত্যা করে ফেলতে পারেন। এ নিয়ে তাকে আইনের আওতায় নেয়া জরুরি। এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁঞা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি সেকশনের বিষয়। তবে এ অনিয়মের ব্যাপারে পৌরসভার কারো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়