বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৬

ইন্টার্ন ডাক্তারদের যোগদানে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে

জনবল সংকটের মধ্যেও হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে চেষ্টা করছি : ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
জনবল সংকটের মধ্যেও হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে চেষ্টা করছি : ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুরের সাথে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুর ও এসিজি গ্রুপের সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ নভেম্বর বুধবার এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 'স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা নিশ্চিতকরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করণীয় ও আমাদের প্রত্যাশা' শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক চাঁদপুরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য কাজী শাহাদাত। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর পাটওয়ারী। প্রধান অতিথি ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে সনাক ও এসিজি গ্রুপ কর্তৃক উত্থাপিত প্রতিটি সমস্যা ও সুপারিশের জবাব দেন। তিনি বলেন, আপনাদের এই সুপারিশগুলো হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এই জনবল সংকটের মধ্যে থেকেও আমরা সেবার মানোন্নয়নে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, সমাজ ব্যবস্থায় যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি হাসপাতালের সেবার মানেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা জনগণের সেবা নিশ্চিতের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত দুই মাস ধরে হাসপাতালে বেশ কিছু ইন্টার্ন ডাক্তার সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ফলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। পূর্বে হাসপাতালে কোনো নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। এখন ১২জন আনসার নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও আরো ১২জন আনসার সদস্য কয়েকদিনের মধ্যে যোগদান করবে। তিনি আরও বলেন, সনাক ও এসিজি গ্রুপের সহযোগিতায় হাসপাতালের সেবার মানের অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমি প্রত্যাশা করছি, সনাকের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, অটোমেশন হয়ে গেলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক সমস্যার সমাধান হবে। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে হাসপাতালে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন রোগীর সাথে একাধিক লোক আসার কারণে হাসপাতালের পরিবেশও বিনষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। হাসপাতালে যে ছোট ছোট সমস্যাগুলো আছে তা সমাধান করা হবে। হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্যও রয়েছে। দালাল রোধে কাজ করছি। তিনি হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়ন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মতবিনিময় সভা আয়োজন করার জন্যে তিনি সনাক-টিআইবিকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে কাজী শাহাদাত বলেন, সেবাগ্রহীতাদের এতো চাপ সহ্য করেও হাসপাতাল সেবার মানোন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মূলত হাসপাতালের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। বিগতদিনেও আমরা হাসপাতালের বেশ কিছু সমস্যা উত্থাপন করেছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধানও হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোরও সমাধান হবে। রোগীদেরও আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তিনি হাসপাতালে একজন পাবলিক রিলেশান অফিসার থাকা দরকার বলে মনে করেন। কোনো কিছুই রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না এবং একেবারে নির্মূল করা যায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সেবাদাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে আন্তরিকতা এবং নৈতিকতা ছাড়া সেবার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। তবে হাসপাতালে সেবার মানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তিনি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। টিআইবি'র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাসুদ রানার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাঃ সাফায়াত সাফি উল্যাহ, সনাক সদস্য রফিক আহমেদ মিন্টু, এবিএম নজরুল আমিন সাজু, লায়ন মাহমুদ হাসান খান, পাপড়ি বর্মণ, মোহাম্মদ আসিফ-উল-ইসলাম, এসিজি গ্রুপের সমন্বয়কারী মাঈনুল ইসলাম মানিক, সহ-সমন্বয়কারী আশিক বিন রহিম, সদস্য শাহরিয়ার পলাশ, প্রণব চন্দ্র দাস, আয়েশা আক্তার রুপা, সুলতানা আক্তার, নার্সিং সুপারভাইজার মাকসুদা আক্তার প্রমুখ। হাসপাতালে সেবাদাতাগণের সময়ানুবর্তিতা, প্রত্যাশিত জনবল নিশ্চিতকরণ/Available doctors against sanctioned post, হাসপাতালের সেবার উন্নয়নে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোকে কার্যকর করা, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার-এর আধুনিকায়ন/মাবান্ধব করা, দৈনিক ঔষধ সরবরাহের তালিকার আধনিকায়ন ও হালনাগাদকরণ, Complain redress committee, (অভিযোগ নিস্পত্তি কমিটি) and visible guideline, হাসপাতালের ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদকরণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত (Designated Officer) কর্মকর্তা নিয়োগ ও ডিআইও বোর্ড স্থাপন, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে তথ্য প্রদান ও এ সম্পর্কিত রেজিস্টার/ফাইল সংরক্ষণ, হাসপাতালের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদকরণ, পরামর্শ ও অভিযোগ বক্স কার্যকরকরণ, তথ্যের উন্মুক্ত প্রকাশ (আইইসি উপকরণ, সিটিজেন চার্টার, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হালনাগাদ ও ডিসপ্লে করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সেবিকাবৃন্দ, ইয়েস গ্রুপের দলনেতাসহ সদস্যবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়