সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৬

বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব

ফরিদগঞ্জ ইউএনও অফিসে প্রবেশকালে লাঞ্ছনার শিকার গল্লাক কলেজ সভাপতি

অপহরণ চেষ্টা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
ফরিদগঞ্জ ইউএনও অফিসে প্রবেশকালে লাঞ্ছনার শিকার গল্লাক কলেজ সভাপতি
রোববার ফরিদগঞ্জে ইউএনও অফিসে প্রবেশকালে বিএনপির এক গ্রুপের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা ও গল্লাক কলেজের সভাপতি মাহবুব মোরশেদ কচিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা মাহবুব মোরশেদ কচি তাকে লাঞ্ছনা ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১৭ নভেম্বর রোববার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে এমএ হান্নান গ্রুপের অনুসারীদের হাতে সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদের অনুসারী ও গল্লাক আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাহবুব মোরশেদ কচি এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্তার শিকার হন। তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা পরিষদের ভেতর থেকে ওসি হানিফ সরকারসহ থানা পুলিশের একটি দল এসে তাদেরকে কলাবাগান বাজারের একটি দোকানে নিরাপদে এনে রাখে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব মোরশেদ কচি বলেন, গত ৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়। এতে সভাপতি হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার কলেজ সভাপতির বাসভবনে দুটি সভা হওয়ার পর ১৭ নভেম্বর রোববার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও মিষ্টিমুখ করার দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু এই উৎসবকে পণ্ড করতে সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ হান্নানের অনুসারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের পক্ষের লোকজন রোববার সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে ইউএনও ও ওসির পরামর্শ মতে মতবিনিময় সভা স্থগিত করে তাদের অনুরোধে দুপুরে উপজেলা পরিষদ গেইটে আসলে এমএ হান্নানের অনুসারীরা আমার ও গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে ইউএনও অফিসে নিয়ে যায়।

ইউএনও অফিসে আমাকে ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমি রাজি না হয়ে সভা ত্যাগ করে চলে আসি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলেও বিএনপি নামধারী একটি গ্রুপের মাধ্যমে তারা প্রকৃত বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাজেহাল ও হয়রানির শিকার করছে। তারা আওয়ামী লীগের দোসর কলেজ অধ্যক্ষ হরিপদ দাস ও সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমরা কোনোভাবেই এটা হতে দেবো না। আজ যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা বিএনপির ও যুবদলের পদধারী। এভাবে প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটনা বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি আবারো বলছি, আমি যেভাবে বৈধ পন্থায় কলেজে সভাপতি হয়েছি, তেমনি ডা. আজাদ যদি পারেন তাহলে আমি তাকে স্বাগত জানাবো। শিক্ষাঙ্গন নিয়ে এ ধরনের রাজনীতি কাম্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদ, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটওয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাসির পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন কোম্পানি, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, পৌর যুবদল নেতা টুটুল পাটওয়ারী, পেয়ার আহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, শাওন পাঠান, মোঃ আলম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়