রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৯

টোরাগড় বনাম মকিমাবাদের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক

---------ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
টোরাগড় বনাম মকিমাবাদের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেছেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জের টোরাগড় গ্রামবাসী ও মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির ঘটনার ইন্ধনদাতা একটি কুচক্রি মহল। এটি নিছক এক প্রেমঘটিত ঘটনা। এ ঘটনার কারণে আমাদের নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না। গত ১৭ বছরে আমাদের নেতা-কর্মীরা যেভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে, এখন সেই রকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আজকে আমাদের যে সকল নেতা-কর্মী বাড়িতে থাকতে পারছে না, তারাই গত ৫ আগস্ট থেকে উপজেলা, থানাসহ সকল সরকারি স্থাপনা পাহারা দিয়েছে। ওই ঘটনায় যারা জড়িত, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে মানে প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। আর আমাদের আজাদ সরকার হত্যাকারীসহ সেলিমের দোকানের দেড় কোটি টাকার মালামাল লুট ও দোকান ভাংচুরের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের দ্রুত আটক করা হোক।

১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বিশাল এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আয়োজিত সভায় ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বরের একই ঘটনা প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি কলমও লিখেন নাই। এখন একটু সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করুন। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে তুলে ধরুন। মিথ্যা খবর রটানোর চেষ্টা করবেন না। গত ২০ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় কিছু গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করে এই ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা বলেছে, ২/৫/৭/১১ জন মারা গেছে। অথচ ওইদিন কোনো মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বরের ঘটে যাওয়া ঘটনায় টোরাগড় ও সর্দার বাড়ির মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা হয়েছে। এতে করে সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের কোনো নেতা-কর্মী আইন নিজের হাতে নিবেন না, পরিবহন থেকে চাঁদা নিবেন না, বাজার থেকে চাঁদা নিবেন না। এমন কিছু আমরা জানতে পারলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। আগামীতে আমরা বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবো। যারা বেকার তাদেরকে চাকুরি দেয়া হবে। তার আগে কিছু উন্নয়ন কাজ আমাদের শেষ করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে, আপনারা কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ করবেন না। যারা অপকর্মে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে এবং পরে আপনারা দুজন সাক্ষী। তারা তো আপনাদেরকে পাহারা দিয়েছে। তাহলে আপনারা থাকতে কেনো টোরাগড় গ্রাম ও মকিমাবাদের সর্দার বাড়ির লোকজন হয়রানির শিকার হবে? এই দুই গ্রামের বিষয়ে আপনাদের মতামত দিন। তাদের প্রতি যেনো অবিচার করা না হয়। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে গ্রেফতার করুন।

বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল্যাহ পাটওয়ারীর সভাপ্রধানে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. রহিম পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টু, সাবেক উপদেষ্টা সদস্য হেলাল উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল।

আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন বেলাল, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান সেলিম, সাবেক সদস্য সচিব মোঃ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত তালুকদার, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউছুফ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির, নুরুন্নবী সম্রাট, যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির সুমন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইমান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, সাবেক সদস্য সচিব শাহিন মজুমদার, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদুল আলম হীরা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এস.এম. ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, যুবনেতা ডাঃ জহির, নাজমুল হাছান রাজন, শুকুর আলম, মনির খন্দকার, ফারুক হোসেন, সুমন তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা ঝুটনসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়