শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১৭

শিক্ষাবোর্ডে তালা দিয়ে এইচএসসিতে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন

মো: জাকির হোসেন
শিক্ষাবোর্ডে তালা দিয়ে এইচএসসিতে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন সদ্য প্রকাশিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় খারাপ করা পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এসময় বিভিন্ন কলেজের প্রায় শতাধিক পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ৩টা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান ছিল। এসময় শিক্ষাবোর্ডের ভবনে তালা দিয়েছিল তারা।

তাদের অভিযোগ, বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফল দিয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরও গণহারে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষায় সবাইকে পাস করানো হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংও সঠিকভাবে করা হয়নি।

তারা আরও বলেন, তাদের চার বিষয়ে সাতটি পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস। কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরও ফেল দেখানো হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।

নগরীর হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার্থী দেবপ্রিয় বড়ুয়া কৌসিক বলেন, আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টা পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরেও ফেল দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কায়সার নিলুফা কলেজের পরীক্ষার্থী মাসুম খান বলেন, আমি সব পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আমাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার পরেও আমাকে অনুপস্থিত দিয়ে দিয়েছি।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এই ফল কোনোভাবেই মানেন না তারা। খাতা না দেখেই ফল ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকের আইসিটি পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। তার পরও ফেল দেখানো হয়েছে। পদার্থবিদ্যায় ১১০ পাওয়ার পরও কেমনে ফেল দেখানো হয়? আবার বাংলায় ৭৫ পেয়েও ফেল! কর্তৃপক্ষ বলছে, এমসিকিউতে খারাপ করছে, তাই ফেল আসছে।

বোয়ালখালীর আশুতোষ ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহিদা আক্তার বলেন, দুই বিষয় মিলে কীভাবে মাত্র ৩ পায়? যেখানে আমার মেয়েটা সবসময়ই ভালো রেজাল্ট করে আসছে। এই রেজাল্ট কোনোভাবেই আমরা মানিনা। খাতা না কেটেই ওরা রেজাল্ট ঘোষণা করছে। বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। আইসিটি পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে তারপরও ফেল দেখিয়ে দিয়েছে। এটাকে কি সঠিক মূল্যায়ন করা বলে?’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। তারা পরীক্ষা খারাপ দিয়ে ফেল করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের তো কিছু করার নেই। কোনো শিক্ষার্থী একটা বিষয়ে খারাপ করলে সম্পূর্ণ ফল ফেল আসবে– এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, এখানে কারও কোনো হাত নেই। তার পরও যদি কারও মনে হয়– ভালো পরীক্ষার পরও ফল আশানুরূপ হয়নি, সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারে।

তথ্যসূত্র :বিডি ২৪

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়