প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০১
শাহতলীতে আটক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল কারীর তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ড শুনানি চলতি সপ্তাহে
নাশকতার মামলায় আটক চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড (শাহতলী) আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল কারীকে ২১ দিনের রিমান্ডের জন্যে আদালতে আবেদন করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মকবুল হোসেন। বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন খোদ এসআই মকবুল হোসেন। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রিমান্ড প্রয়োজন বলে তিনি জানান। জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর বিকেলে গোপন সোর্সের মাধ্যমে বাবুরহাট এলাকা থেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল কারীকে আটক করে মডেল থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনী।
চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, এ থানায় দায়েরকৃত নাশকতার তিন মামলা হচ্ছে : (১) মামলা নং-১১/৫৭১, তারিখ-১৫/০৮/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৪১/৪২৭/৪৩৬/৩৮০/৫০৬(২)/১০৯ পেনাল কোড; (২) এফআইআর নং-১৯, তারিখ-২০ আগস্ট, ২০২৪ : জি আর নং-৫৭৯, তারিখ-২০ আগস্ট, ২০২৪ : ধারা- ১৪৯/১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারা এবং (৩) এফআইআর নং-২৪, তারিখ-২৭ আগস্ট, ২০২৪, জি আর নং-৫৮৪, তারিখ- ২৭ আগস্ট, ২০২৪ : সময় ১৮:০৫ ঘটিকা, ধারা ১৪৩, ৪৪৭,৪৪৮,৪৩৬,৪২৭, ৩৮০, ৫০৬(২) পেনাল কোড-১৮৬০। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, আটক নাশকতাকারী বালু ব্যবসায়ী সোহেল কারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দলীয় পদ ব্যবহার করে লুটপাট, শাহতলী-পাইকদী সড়কের পাশে বালু-ইট ব্যবসার নামে অন্যের জমি দখল এবং পাইকদী এলজিআরডির সরকারি রাস্তা দখল করে তার ভাই নাশকতার মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মনির কারী জোরপূর্বক মার্কেট নির্মাণ করেন। ঠিকাদারের নামে সিন্ডিকেট করে ফ্যাসিলিটিজ, এলজিইডি থেকে কাজের নামে অনিয়ম করে লুটপাট করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল এবং অর্ধ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তার পাশে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই সোহেল কারী ও তার ভাই নাশকতার মামলার অপর আসামি যুবলীগ নেতা মনির কারী গং সন্ত্রাসী কায়দায় অপর নিরীহ বালু ব্যবসায়ী ভাটেরগাঁও নিবাসী মহসীনের ওপর হামলা করে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। সে কারণে তৎকালীন সময়ও তার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টায় মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়। সেখানে কাউকে বালু ব্যবসা করতে হলে সোহেল কারী গংকে চাঁদা দিতে হতো। নইলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতো। এমনকি বিগত পতিত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি কামাল মিজির বালু ব্যবসার জায়গাও দখল করে রেখেছে এই সোহেল কারী। আজও সে জায়গা ফেরত পায়নি।