শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩৫

এক গৃহবধূ ও তার সন্তানদের পুড়িয়ে মেরে ফেলার পাঁয়তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা।।
এক গৃহবধূ  ও তার সন্তানদের পুড়িয়ে মেরে ফেলার পাঁয়তারা

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে এক গৃহবধূ ও তার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করা হয়েছে।

জানা যায়, নিজ গাছতলা গ্রামের গাজী বাড়ির রাজ মিস্ত্রি

জাকির গাজী বিউটি বেগমকে প্রথম বিয়ে করেন। পরে পারিবারিকভাবে তাকে তালাক দিয়ে দেন। সে ঘরে তার ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। পরে একই বাড়ির মান্নান গাজীর মেয়ে রিনা বেগমকে বিবাহ করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর রিনা বেগমকে জায়গা কিনে দেওয়ার জন্যে তার শ্বশুর নেকত আলী টাকা নিয়ে আর জায়গা দেন নি। ৬ মাস পর রিনা বেগমকে তার শ্বশুরের ঘর থেকে বের করে দিলে তিনি বাবার ঘরে এসে আশ্রয় নেন।

পরে নেকত আলী গাজী, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে জাকির গাজী

লোভে পড়ে তালাক দেওয়া বিউটি বেগমকে পুনরায় নিয়ে আসে। বিউটি বেগমের সাথে জাকির গাজী ঘর সংসার করে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগম মানুষের ঘরে কাজ করে তার তিন কন্যা সন্তানের পড়াশোনা করানোসহ তাদের ভরণপোষণ কষ্টকরভাবে করে যাচ্ছে । জাকির গাজী কোনো মাসে ২ হাজার, কোনো মাসে ৩ হাজার টাকা রিনা বেগমকে দেন। আবার কোনো মাসে খরচ দেননি।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে

রিনা বেগমের সতিন বিউটি বেগম, তার ছেলে জাহিদ গাজী ও স্বামী জাকির গাজীসহ রিনা ও তার তিন সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিনা বেগমের বাবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিতে আসে। রাতে অন্ধকার হওয়ায় তারা কিছু না দেখতে পেয়ে রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা রিনা বেগম দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন দৌড়ে আসেন এবং বহু কষ্টে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিউটি বেগম, জাকির গাজী ও জাহিদ গাজীকে পালিয়ে যেতে দেখেন বাড়ির লোকজন। ততক্ষণে রান্নাঘর পুড়ে গিয়ে পাশে থাকা গাছ পর্যন্ত পুড়ে যায়। অল্পের জন্যে চারপাশে থাকা বসতঘরগুলো, বৈদ্যুতিক তারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষা পায়।

এ ঘটনায় রিনা বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বাড়ির লোকজন বলেন, রিনা বেগম ও তার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার জন্যে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। অল্পের জন্যে আমরা চারপাশে যারা বসবাস করি আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।

রিনা বেগম বলেন, আমার সতিন বিউটি তার ছেলে জাহিদ গাজীসহ অন্যরা মিলে আমার সন্তানদেরকে ও আমাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আল্লাহ আমাদেরকে বাঁচিয়েছেন। আগুনে আমার রান্নাঘরসহ পাশে থাকা গাছ গুলো পর্যন্ত পুড়ে গেছে। আমি আমার সন্তানদেরকে নিয়ে বহু কষ্ট করে মানুষের কাজ করে পড়াশোনা করানোসহ সংসার চালাই। আমি স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্য অধিকার পাই না। আমি প্রশাসনের সহায়তা চাই। আমি চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়