প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ১৯:৫৬
আওয়ামী লীগ সরকার মানবতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে
---------------------ড. সেলিম মাহমুদ
আওয়ামী লীগ সরকার মানবতায় বিশ^াস করে, ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ^াস করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ এই দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নানা অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছে। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর যাদের জমি দখল করা হয়েছিলো তা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই রাষ্ট্র আমাদের সকলের, যারা ধর্মের নামে বৈষম্য করার চেষ্টা করছে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হিন্দু জমিদাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু জমিদাররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে গেছে। যারা এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার মানবতায় বিশ^াস করে, ধর্ম নিরপেক্ষতা বিশ^াস করে। সম্প্রতি মার্কিন ৬ জন কংগ্রেসম্যান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চলছে বলে যে অভিযোগ করেছে, এটা কত বড় মিথ্যাচার সেটা প্রমাণিত হয়েছে যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে এর প্রতিবাদ করেছেন। বিএনপি সরকারের আমলে এই দেশে ১৯ হাজার পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
|আরো খবর
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম মাহমুদ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের ১৫৬তম উল্টো রথযাত্রা উৎসবে লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে ভক্তবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণধন দেব, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ফণী ভূষণ মজুমদার তাপু, জগন্নাথ ধাম পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু, রথ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শুকদেব গোস্বামী ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গোপ প্রমুখ।
উল্টো রথযাত্রা উৎসবে শামিল হয়েছে কচুয়ার তথা দেশ বিদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অসংখ্য ভক্ত। বিকেল ৫টায় লক্ষাধিক ভক্ত সাচার পূর্ব বাজার থেকে রথ টেনে জগন্নাথ মন্দিরের পশ্চিম প্রাঙ্গণে আনেন। এ সময় জগন্নাথ বলরাম শুভদ্রার জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।