প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
ব্যতিক্রমী চেতনায় ৫শ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
পৌর পাঠাগারে বইবৃক্ষ আবার নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে আনবে
----------------------মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল
নতুনত্ব এবং ব্যতিক্রমী চেতনায় চাঁদপুরে এই প্রথম সববয়সী মানুষের জন্যে বই উৎসবের আয়োজন করলো ‘বইবৃক্ষ’। এটি উদ্বোধন করেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল।
|আরো খবর
সচরাচর ১ জানুয়ারি প্রাতিষ্ঠানিক বই বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় বই উৎসব। কিন্তু যারা প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের বাইরেও জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্যে ৫০০ বইয়ের ব্যবস্থা করে দিলেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। এই ৫শ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো এবারের ব্যতিক্রর্মী এবং অভিনব এই বই উৎসব। বিশ্ব যখন গ্লোবালাইজেশনের অন্ধকার গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে, তখন এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী আলোর মশাল নিয়ে দাঁড়িয়েছে দিক-নির্দেশনা দিতে। তারা বইয়ের আলোয় মানুষকে আলোকিত করার ব্রত করেছে, যেখানে নেই কোনো বয়সের ধরাবাঁধা নিয়ম। সববয়সী মানুষ পারবে তাদের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়তে। বই এবং পাঠকের দূরত্ব কমাতে তারা বই সরবরাহ করে থাকে পাঠকের বাড়ি পর্যন্ত।
৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বইবৃক্ষ কর্তৃক আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী বই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। এ অনুষ্ঠানে বইবৃক্ষের সদস্যরা মেয়রের কাছে ১০০ বইয়ের আবেদন করেন। মেয়র তাদের পাঠক উপস্থিতি এবং বই পড়ার আগ্রহ দেখে ঘোষণা দেন, ‘তোমরা আমার কাছে ১০০ বই চেয়েছিলে, আমি এই চাঁদপুর জন্যে ১০০ বই নয় বরং ৫০০ বই উন্মুক্ত করে দেবো। যেহেতু বইবৃক্ষের কোনো স্থায়ী কার্যালয় নেই সেহেতু আমি বইবৃক্ষকে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে চাঁদপুর পৌর পাঠাগার উন্মুক্ত করে দিলাম। পৌর পাঠাগারে তোমরা আবার নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে আনবে এটাই আমার বিশ্বাস।’ অবশেষে ১৭ ডিসেম্বর ৫০০ বইয়ের বিল পাস হয় চাঁদপুর পৌরসভা থেকে এবং বাতিঘর প্রকাশনী থেকে সব বই অর্ডার কনফার্ম করে গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ উন্মোচিত হয় বইয়ের মোড়ক।
এ অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র বলেন, পুরো বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র আমরা একজন সুকৌশলী নেত্রী পেয়েছি বলেই আমাদের দেশে এখনো অভাব অনটন দেখা দেয় নি। পুরো বিশ্বের সামনে চাঁদপুরের সন্তানদের তুলে ধরার জন্যে আমরা এই পৌর পাঠাগারে সব রকমের সুযোগ সুবিধা দেবো তোমাদের। প্রয়োজনে অত্যাধুনিক চেয়ার-টেবিলেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে তোমাদের। এই অনুষ্ঠানে মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন আরো কিছু বিশেষ অতিথি। তাঁরা হলেন, লায়ন মাহমুদ হাসান খান, লায়ন আরমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, আয়েশা রহমান এবং তরুণ লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ ফরিদ হাসান। বই উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বই পড়ার গুরুত্ব আলোচনার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক কুইজ প্রতিযোগিতারও ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম ও জাহিদ আহমেদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। পরিশেষে অতিথিবৃন্দ সকলের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৫০০ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।