প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে
-------------জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ‘সামাজিক সম্প্রীতি’ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
সভায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, সমাজসেবক, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নারী সমাজসেবক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, পূজা উদ্যাপন কমিটির প্রতিনিধি ও স্কাউট, গার্লস গাইড, বিএনসিসিসহ জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রতন কুমার মজুমদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, চাঁদপুর গোর-এ-গরিবা কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওঃ খোরশেদ আলম, চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক ইম্মানুয়েল সরকার, ত্রিপুরা জাতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কর্ণরাজ ত্রিপুরা, চাঁসক শিক্ষার্থী ইমরান খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দুটি কারণে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে, একটি উগ্রবাদ অর্থাৎ নিজের মত অন্যের ওপর জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা এবং অন্যটি গুজব ছড়িয়ে মানুষকে দাঙ্গায় উস্কে দেয়া। যারা সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টে অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বক্তারা চাঁদপুরবাসীকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে সামাজিক-সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সবাইকে সজাগ, সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এ ধরনের কিছু দেখলেই স্ক্রীন শট রেখে সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করতে হবে। যাতে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবার আগেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায়।
তিনি বলেন, আগামী শনিবার আমরা চাঁদপুর জেলা সদরে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ করবো। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে এ সমাবেশ করা হবে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আমাদের এই সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।