প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১০:৩৭
আজ হাজীগঞ্জে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট উদ্বোধন
২০ জুন রোববার বিকেলে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে হাজীগঞ্জ পৌরসভার কাক্সিক্ষত সেই সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ভূউপরিভাগস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্প)। আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। এর ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করেছিলেন এই সাংসদ।
কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারের মিঠানিয়া ব্রীজের উত্তর পাশে পৌরসভার নিজস্ব জমিতে উক্ত প্ল্যান্টটি প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত প্ল্যান্টের বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌরবাসীর কাছে পৌঁছাতে একই প্রকল্পের স্থান ভেদে নতুন আকার বা সাইজের ভিন্নতা নিয়ে প্রায় ৩১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে অনেক আগেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুর কণ্ঠকে পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন জানান, উক্ত প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৪০ হাজার নাগরিক বা ৮ হাজার পরিবারের মাঝে এই পানি বিতরণ করা হবে। উক্ত প্ল্যান্ট দৈনিক ৪৩ লাখ ২০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ সুপেয় পানি নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করতে পারবে। এতে করে আগামী ২০ বছর পর্যন্ত পৌরবাসীর নতুন করে বিশুদ্ধ পানির চাহিদার অভাব থাকবে না।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্যে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা করেন স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। এটি ২০২০ সালে উদ্বোধন করার কথা থাকলেও করোনার কারণে এর উদ্বোধনে বিলম্ব হয়। কাজ চলাকালীন সকল কাজের তদারকি করেন পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব উল আলম লিপন।
পৌরসভার সূত্রে আরো জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৫৭০ জন। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্যে ৫টি ডিপ টিউবওয়েল ও ৬০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার পৌরবাসী আর্সেনিকমুক্ত পানির সুবিধা পাচ্ছেন। বর্তমান মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ১ম বার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে নতুন করে বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন এবং সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পানি সরবরাহে জন্য ১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপলাইন স্থাপনের কাজও শেষ করেন। ২য় বারের মতো পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পৌরবাসীকে সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা করলেন।