প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৪
ক্রীড়াচর্চায় জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সেই নির্দেশনার খবর জানে না হাজীগঞ্জের কোনো প্রতিষ্ঠান

গত ক’দিন আগে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত সেই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও সভাপতি জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ ক্রীড়াচর্চায় যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা হাজীগঞ্জের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান জানেন না। এক কথায় প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ যেখানে জানেন না, শিক্ষার্থীরা সেখানে জানবেন কীভাবে-মন্তব্য করছেন বহুজনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভেন্টভিত্তিক দল গঠন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ দিতে হবে। এতে করে মেধা বিকাশের পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।”
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বছরের শুরুতে ক্লাবভিত্তিক দল গঠনের জন্যে, যেমন ফুটবল ক্লাব, কাবাডি ক্লাব, ভলিবল ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাব, ব্যাডমিন্টন ক্লাব, দাবা ক্লাব, সুইমিং ক্লাব ইত্যাদি। সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন এসব ক্লাবের কার্যক্রম শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্লাবগুলো সঠিকভাবে গঠন ও পরিচালনা হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং জেলা শিক্ষা অফিসের পরিদর্শকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলার শীর্ষকর্তা ও জেলার শিক্ষার শীর্ষ কর্তার বক্তব্যের সূত্র ধরে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে কথা হয় হাজীগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসা ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণের সাথে। এ সকল প্রধান এমন বিষয় জানেন না। হাজীগঞ্জ
উপজেলার বাকিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক মুঠোফোনে জানান, এমন নির্দেশনার বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন খেলাধুলাতে এ মাদ্রাসা অংশ নিয়ে থাকে।
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বলাখাল জে এন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) খোদেজা বেগম বলেন, এমন নিদর্দেশনা আমার জানা নেই, তবে আমরা ক্রীড়া শিক্ষকের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ খেলাধুলার চর্চা করে থাকি।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কোনো নির্দেশনা জানা নেই জানিয়ে উপজেলার বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার বিরতির পরে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক অনুষ্ঠান ও মাঠে খেলার আয়োজন করি, এটা বহু আগে থেকে চলমান রয়েছে।
উপজেলার মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক সরকার জানান, আমাদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন তো হাই স্কুল-মাদ্রাসাগুলোতে টেস্ট পরীক্ষা চলছে, আর বার্ষিক পরীক্ষা সামনে। এর মাঝেই আমরা একটা রোডম্যাপ করে দেবো। রোডম্যাপ করার সাথে সাথে পরীক্ষাগুলো শেষ হবে। এরপরেই খেলাধুলা পুরোদমে চালু হবে।







