প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বিসিবি একাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
দেশের সেরা ২ ক্রিকেট একাডেমির একটি ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেম ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত বিসিবি একাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দেশ সেরা ২টি একাডেমির মধ্যে একটি হয়েছে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমি।
|আরো খবর
সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০টি ক্রিকেট একাডেমি অংশগ্রহণ করেছিল। তন্মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমি চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চূড়ান্ত পর্বের খেলা ২২ জুন থেকে সিটি ক্লাব মাঠ এবং ঢাকা বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী তাদের প্রথম খেলায় নেত্রকোনা ক্রিকেট একাডেমির বিরুদ্ধে সিটি ক্লাব মাঠে জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কোয়ার্টার ফাইনালে টাঙ্গাইলের টাঙ্গাইল স্পোর্টস একাডেমিকে হারিয়ে শক্তিশালী খুলনা ক্রিকেট একাডেমির মুখোমুখি হয়। খুলনাকে ৬১ রানে হারিয়ে ফাইনালে শক্তিশালী সাতক্ষীরা ক্রিকেট একাডেমির বিরুদ্ধে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী ৩০ রানে হেরে যায়। বিসিবি একাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমি তার ক্রিকেট প্রশিক্ষণ এবং খেলোয়াড়দের দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পায়।
বৃষ্টি বিঘিœত ফাইনাল ম্যাচটিতে প্রথমে সাতক্ষীরা ক্রিকেট একাডেমি টসে জয়লাভ করে ২১৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমি ১২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৫৯ রান সংগ্রহ করলে বৃষ্টি শুরু হয়। পরবর্তীতে বৃষ্টি শেষ হলে ৪৩ বলে ৬৩ রান করার লক্ষ্য স্থির হয়। যেটা করতে গিয়ে একাডেমির খেলোয়াড়রা তাড়াহুড়া করে উইকেট হারাতে থাকে এবং সহজ জয়ের ম্যাচটি পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ করে।
এ ব্যাপারে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চাঁদপুরের ক্রিকেটের রূপকার শামিম ফারুকী এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, এই ম্যাচ থেকে একটা জিনিস প্রতীয়মান হয়েছে যে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা সিঙ্গেল ডাবলসে খেলতে অভ্যস্ত নয়। দলের সবাই ছয় এবং চারের সাহায্যে রান সংগ্রহ করতে ইচ্ছুক। সিঙ্গেল বা ডাবলস-এর দিকে তাদের মনোযোগ খুব কম। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ১/২ রানের উপর ভিত্তি করে ইনিংস গড়তে যত্নশীল হতে হবে। যদি তারা সিঙ্গেলস-এর ওপর খেলে শেষ দিকে ৫/৬ উইকেট হাতে রেখে রানের জন্য ছয়-চার মারতো তাহলে হয়তোবা এই ম্যাচ আমরা জিততে পারতাম। এছাড়াও আমার কোচদের বাইরের এই ধরনের টুর্নামেন্টে তাদের খেলোয়াড় এবং দল পরিচালনায় যে দক্ষতার ব্যাপার ছিল সেটাও আমাদের দেখা হয়ে গেলো। যে ভুলত্রুটিগুলো আমাদের এই টুর্নামেন্টে হয়েছে, আমরা ভবিষ্যতে সেগুলো শুধরিয়ে সামনে আরো ভালো ক্রিকেট উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। চাঁদপুর ক্রিকেটের উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।