সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২৭

লন্ডনের ফ্ল্যাট: টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতি সন্দেহের ছায়া

চমক! লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট

প্রতিবেদন: মো. জাকির হোসেন
চমক! লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে ২০০৪ সালে বিনামূল্যে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার একটি ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছিল, যা নতুন করে আলোচনায় এনেছে তার আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

টিউলিপের সম্পর্ক ও বিতর্কিত সম্পদ

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। তার মন্ত্রীত্বের সময় যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে দুর্নীতি রোধের দায়িত্ব থাকলেও ব্যক্তিগত সম্পদের প্রশ্নে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে। ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথি অনুযায়ী, এই ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ডে কেনা হয়েছিল। বর্তমানে একই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড, যা এই সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়।

ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের যোগসূত্র

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে দিয়েছিলেন এক আবাসন ব্যবসায়ী, যার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। ওই ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফ দাবি করেন, টিউলিপের মা-বাবার সহায়তার কারণে তিনি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ফ্ল্যাটটি দিয়েছেন। তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

অস্বীকার ও প্রতিক্রিয়া

টিউলিপের মুখপাত্র এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার খবর ‘ভুল’ বলে দাবি করেছেন। তবে ফ্ল্যাটটির মালিকানা এবং দানের পেছনের কারণ নিয়ে এখনও স্পষ্টতা আসেনি। এর আগে টিউলিপকে বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এমন সম্পত্তি পাওয়া এবং তা গোপন রাখার বিষয়টি গুরুতর। এটি শুধু টিউলিপের নয়, পুরো লেবার পার্টির নৈতিক অবস্থানের প্রশ্ন তুলে ধরেছে। অন্যদিকে, টিউলিপের বাংলাদেশি পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাবও এ বিতর্ককে ঘনীভূত করেছে।

ফ্ল্যাটের মালিকানা ও দানের প্রকৃত কারণ নিয়ে আরও তথ্য আসার অপেক্ষায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এটি টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নতুন এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়