সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮

দেশের সমসাময়িক বিষয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার : অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম

১৫ দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশের মানুষের মাঝে দেখতে চাই

মানুষের অন্তরে থাকতে চাই, ব্যানারে পোস্টারে নয়

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
১৫ দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশের মানুষের মাঝে দেখতে চাই

অ্যাডভোকেট একেএম সলিম উল্যা সেলিম ১৯৬৯ সাল থেকে অদ্যাবধি আপাদমস্তক একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন থেকে তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। দীর্ঘ ১০ বছর সক্রিয়ভাবে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী থেকে চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করে ঐতিহাসিক কারণে শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চাঁদপুর জেলা (তৎকালীন মহকুমা) শাখা গঠন করেন এবং জেলার আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে ছাত্রদল থেকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সাথে বহুবার গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক এবং সম্মেলনের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। একই সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে তিনি চাঁদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ২০১৪ সালে চাঁদপুর জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হন। ২০২২ সালে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর উদ্যোগে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ কালাম-খালেক-সুশীল-শঙ্কর স্মরণে ট্রাকরোডে মুক্তিসৌধ নির্মাণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। একই সাথে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার একাধারে ১২ বছর মহাসচিব এবং তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পালন করেন। তিনি চাঁদপুর রেড ক্রিসেন্টসহ বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এই বর্ণাঢ্য রাজনীতিকের সাথে সমসাময়িক পরিস্থিতির ওপর একান্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিনিধি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করুন।

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : যুগে যুগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, এবারো অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এখন তাদের দায়িত্ব প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে ভবিষ্যতের জন্যে জাতীয় নেতৃত্ব সৃষ্টি করে কাঙ্ক্ষিত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করেন?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : অন্তর্র্বতীকালীন সরকার না হয়ে একটি অন্তর্র্বতীকালীন জাতীয় বিপ্লবী সরকার হওয়া উচিত ছিল। কারণ একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকার হটানো হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে ছাত্র আন্দোলনকে সফল করেছেন, তাদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি ব্যতীত আন্দোলনরত ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি বিপ্লবী সরকার তৈরি করা উচিত ছিলো। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেক জাতীয় নেতৃত্বকে পাশ কাটিয়ে যাদের নিয়ে বর্তমান সরকার পথ চলছে, তাদের এ জাতির প্রতি কদাকস্মিনকালেও কোনোদিন বিন্দু পরিমাণ ঈড়সসরঃসবহঃ ছিল না। ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া বাকি অনেকেই রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী পতিত সরকারের দোসর, দেশের আপামর জনগণের প্রতি তাদের কোনো কালেই ঈড়সসরঃসবহঃ ছিল না এবং এখনো নেই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করুন।

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : যে কোনো দেশে দ্বি-দলীয় গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার জন্য সদা সতর্ক থাকে, ফলে দেশের মঙ্গল হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দুর্নীতি সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : আমার ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই ছিলো। আমার অভিমত : আমি নিজে দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না। আমি যতোদিন বাঁচবো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। দুর্নীতি-দুঃশাসনের অপরাধে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তাই আমি মনে করি, ১৬ কোটি মানুষ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে একটি বার্তা পেতে চায় যে, বিএনপি দুর্নীতি করবে না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবে না। ফলে দলের ভিত্তি আরো মজবুত হবে, জনগণ আস্থাশীল হবে। যে কোনো মূল্যে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুর জেলায় সরকারি উন্নয়নমূলক চলমান কাজগুলো কে বা কারা বন্ধ করে দিয়েছে, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : চাঁদপুর জেলার ডিসি, এসপি এবং আর্মিসহ প্রতিটি কর্তৃপক্ষ আছে। উন্নয়নমূলক চলমান কাজ কে বা কারা বন্ধ করেছে তা দেখা তাদের গুরুদায়িত্ব। সরকারি কাজ বন্ধ করে দেয়া সরকারের কাজে বাধা দেয়ার সামিল। যারা বন্ধ করেছে তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা সরকারি দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে গাফলতি দেখানো অনুচিত। যদি কোনো কাজ বন্ধ করা হয়ে থাকে, সেগুলো চালু করা কর্তৃপক্ষের আইনগত দায়িত্ব।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে কী ভাবছেন?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : বিএনপি প্রতিষ্ঠাই হয়েছে দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া বা অন্য কোনো দলকে ক্ষমতা যেতে দেয়ার জন্য। বর্তমান সরকার দ্রুততার সাথে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করলে বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং দেশে একটি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার কায়েম করবে। এ বিষয়ে অবিসংবাদিত নেতা জনাব তারেক রহমান জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বর্তমান সরকারের সংস্কার সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : বর্তমান সরকারের সংস্কারমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করার অভিজ্ঞতা নেই। কারণ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছাড়া সংস্কার হয় না। তাছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ ৪২টি রাজনৈতিক দল প্রায় ৩ বছর পূর্বে রাষ্ট্র মেরামত (রাষ্ট্র সংস্কার) করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য ৩১ দফা ঋড়ৎসঁষধ জাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন। ৩১ দফা বিশ্লেষণ করলে নতুনভাবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা সন্দেহের সৃষ্টি করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : আমার দল বিএনপি একটি গঁষঃরপষধংং রাজনৈতিক দল এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সমারোহ এই দলটিতে। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ যে কাজের জন্যে ঘৃণিত হয়েছে, আমরা সেই কাজগুলো করবো না। শহীদ জিয়া দেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্যে এই দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। যারা সংগঠন বিরোধী বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দল ইতোমধ্যে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। যারা অপকর্ম করতে চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমি বা আমার দল কঠোর অবস্থানে আছি এবং থাকবো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যে রোধ হচ্ছে না, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার ছাড়া দ্রব্যমূল্য রোধ করা সম্ভব হবে না। কারণ কঠিন সিন্ডিকেট বিদ্যমান। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে নির্বাচিত সরকার দ্রুত দরকার। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে বলে আমি মনে করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দীর্ঘ ৫৪ বছর রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেও কখনোই আপনি কোনো সরকারি দায়িত্ব বা জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেননি এ বিষয়ে মানুষ জানতে চায়।

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : দীর্ঘ বছর রাজনীতিতে সক্রিয় এই জন্য যে, আমি মনে করি রাজনীতি জনগণের সেবার একটি উত্তম মাধ্যম। সরকারি দায়িত্ব পাওয়া বা জনপ্রতিনিধি হওয়া মহান আল্লাহর অশেষ রহমত এবং তিনি সবাইর ভাগ্য নিয়ন্তা। মহান আল্লাহর ইচ্ছাই শেষ কথা। তিনি আমার জন্যে যা নির্ধারণ করবেন আমি তাতেই অনেক অনেক সন্তুষ্ট।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দলের ব্যানার-পোস্টারে আপনার ছবি ও পদবী ব্যবহার করতে নিষেধ করেন কেন?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : ব্যানার-পোস্টারে আমার ছবি-পদবী ব্যবহার করা আমার জন্যে বিব্রতকর। পদ-পদবী ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড স্থায়ী। আমার কর্মকাণ্ড দ্বারা যদি মানুষের হৃদয়ে স্থান করতে না পারি, পোস্টারে-ব্যানারে ছবি-পদবী ব্যবহার করে লাভ কী? মানুষের অন্তরে থাকতে চাই, ব্যানার-পোস্টারে নয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : তারেক রহমান কবে দেশে আসবে বলে মনে করেন?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : তারেক রহমান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা মিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির অবিসংবাদিত নেতা। তাঁকে কেনো এই সরকার দেশে আনছে না, তা একটি ষড়যন্ত্র মনে করছি। কারণ, প্রধান উপদেষ্টার নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা ছিলো, তা কলমের খোঁচায় উঠে গেছে। জেল থেকে কুখ্যাত খুনি সুইডেন আসলাম বের হয়ে যায়, খুনিরা দেশে আসছে, অথচ ১৬ কোটি মানুষের অভিভাবক তারেক রহমান বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জনাব তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে দেখতে চাই। নতুবা আরো একটি বিপ্লব সংঘটিত করে ফেলবো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : মরহুম শেখ মুজিব বাঙালি জাতির পিতা হলেন কীভাবে? তার নেতৃত্বে তো পূর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ স্বাধীন হয় নি। তার অসমাপ্ত নেতৃত্ব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সমাপ্তির মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হলো, যা পূর্ববঙ্গ নামে একসময় খ্যাত ছিলো। কলকাতার বাঙালি আর ঢাকার বাঙালি এক করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমরা বলি, আমরা বাংলাদেশী-বাংলাদেশীদের জাতির পিতা শেখ মুজিবকে দেশবাসী গ্রহণ করবে যদি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ঐতিহাসিকভাবেই আমরা দুজনের কাউকেই খাটো করতে চাই না। যদিও শেখ মুজিবকে খাটো করেছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। তারা শেখ সাহেবকে রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে তোলার চেষ্টা করেছেন। দেখুন, বিভিন্ন দেশে সরকার বদলায়, পতনও হয়। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী, মাও সেতুং, মহামতি লেনিন, কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জর্জ ওয়াশিংটনের ছবিতে কেউ হাত দেয় না। তারা সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলেন। শেখ সাহেব নেতা হিসেবে বড় ছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ ছিলেন। তবে অবশ্যই তাদের দুজনকেই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা সমীচীন হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অত্যন্ত খোলামেলাভাবে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম : চাঁদপুরের বহুল প্রচারিত এবং পাঠকপ্রিয় পত্রিকা চাঁদপুর কণ্ঠকেও ধন্যবাদ দেশের বর্তমান সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মীর মুখোমুখি হওয়ায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়