শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:৪৪

চান্দ্রা ইউনিয়নে ইসলামী যুব আন্দোলনের সম্মেলন

যৌথ অভিযানে নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তি যেনো হামলা মামলা ও হয়রানির শিকার না হয় --শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন

চাঁদপুর কন্ঠ রেপোর্ট পড়েছিলে চেনার জন্য
যৌথ অভিযানে নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তি যেনো হামলা মামলা ও হয়রানির শিকার না হয়        --শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন
চান্দ্রা ইউনিয়নে ইসলামী যুব আন্দোলনের সম্মেলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তি ও ন্যায় বিচার বা ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় । বর্তমানে পুলিশিসহ সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে, বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের কথা হচ্ছে, নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তি যেনো হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । কারণ অনেক স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তি আক্রোশ ও প্রতিহিংসাবশত সুযোগের অপব্যবহার করতে পারে, সেদিকে প্রশাসনের সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, জুলুম নির্যাতনের সাময়িক স্বাদ আস্বাদন হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। পরবর্তী সময়ে এই জুলুম তার জন্যে বড়ো বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আওয়ামী দুঃশাসনের নির্লজ্জ পতন থেকে যদি শিক্ষা গ্রহণ না করতে পারি, তাহলে আমরা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এই রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। এই অভ্যুত্থানের পরিবেশ একদিনে তৈরি হয়নি, বহু সংগ্রাম-আন্দোলন, নির্যাতন-জুলুম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিনা ভোটের নির্বাচন, আয়নাঘরের সেই ভয়ানক চিত্রে এ গণঅভ্যুত্থানের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল দাবি ছিলো শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ। ইসলামী আন্দোলনের মূল দাবি ছিলো রাষ্ট্রের সকল বৈষম্য দূরীকরণ ও রাষ্ট্র সংস্কার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে দুর্বার প্রতিবাদ গড়ে তোলে । ১৬ জুলাই আবু সাঈদের বুকে গুলি করে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ১৭ জুলাই ব্যানারবিহীন শায়েখে চরমোনাইর নেতৃত্বে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, ১৮ জুলাই পীর সাহেব চরমোনাই বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব ঐতিহাসিক ভাষণে সরকার পতন আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয়। তারপর ১৯ জুলাই কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল করার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিত হামলা ও গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে অসংখ্য নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয় এবং আমাদের অনেকে শাহাদাতবরণ করেন। তিনি আরো বলেন, আজকের এই যুব সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি যে, গণহত্যাকারীদের বিচার, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) প্রবর্তন, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করাসহ দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হোক। ইসলামী যুব আন্দোলন ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে যুব নেতা ক্বারী মোহাম্মদ মোস্তফা পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অায়োজিত যুব সম্মেলনে অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর-এর জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুর উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মজিবুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন নেয়ামতসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়