প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫১
হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নৌকা মার্কার বিশাল নির্বাচনী সভায় ডাঃ দীপু মনি
আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো সুযোগ দিবেন
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব ডাঃ দীপু মনির সমর্থনে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী ও অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ দীপু মনি।
তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে চাঁদপুর সদর-হাইমচর নির্বাচনী এলাকার সকল ভোটারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের পবিত্র আমানত আমাকে দিয়েছেন বলেই আমি এমপি হয়েছি। আগে আমি চাঁদপুর ও হাইমচরের নদী সিকস্তি এলাকার লোকজনের কাছে তাদের বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে তারা খুব বিষন্ন মনে বলতো মেঘনার করাল গ্রাসে খেয়ে ফেলছে। কিন্তু এখন আর এ অঞ্চলের মানুষের ঘর-বাড়ি মেঘনার করাল গ্রাসে যায় না। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিগত ৩৫ বছর চাঁদপুরে নৌকার এমপি ছিলো না। এজন্যে আপনাদের উন্নয়ন হয়নি। আপনারা আমাকে বিগত ১৫ বছর যাবত আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি আবারো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে উন্নয়নের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আবারো আপনাদের সেবা করার সুযাগ দিন।
তিনি বলেন, আপনারা চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলাবাসী বার বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে বিজয়ী করে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের স্নেহ ভালোবাসা, দোয়া আশীর্বাদ ও সমর্থনে গত ১৫ বছর সেবা করে আসছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার আরো যা কিছু দরকার সেই কাজগুলো করবার জন্যে এবং আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আবারো সুযোগ দিবেন নৌকায় ভোট দিবেন। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি সবাই দলবেঁধে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।
গত ১৫ বছর আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি, আপনাদের সাথে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সবটুকু পূরণ করতে পেরেছি। আপনাদের প্রাণের দাবি মেঘনার ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছি। চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্যে ৮২৬ কোটি টাকার প্রকল্প কাজ শীঘ্রই শুরু হবে ইনশাল্লাহ। চাঁদপুর আধুনিক লঞ্চঘাট নির্মাণ হচ্ছে। মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ বহু উন্নয়ন কাজ আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য করেছি। ইনশাল্লাহ আমার প্রিয় জনগণ আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে এবং তাদের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে তাদের সেবা করবার সুযোগ দিবে।
দীপু মনি আরো বলেন, কোন অপপ্রচারে কর্ণপাত করবেন না। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে, ভয়ের কোনো কারণ নেই। মা-বোনেরা সকাল সকাল গিয়ে ভোট দিবেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন, নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধাগোবিন্দ গোপ, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আঃ মালেক শেখ, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আঃ আজিজ খান বাদল, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহআলম মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন সুমন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান সাদ্দাম, কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইউছুফ গাজী মুন্না।
সন্ধ্যার পর থেকে শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে একের পর এক নৌকা মার্কার মিছিল উক্ত মাঠে আসতে থাকে। পরে এটি বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভাটি এক পর্যায়ে এ যাবৎকালের সেরা জনসভায় রূপ নেয়। নির্বাচনী পথসভা হলেও ভোটারদের এবং নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে তা নির্বাচনী জনসভায় রূপ নেয়।