শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৩

কচুয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় আহত ৩০

কচুয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় আহত ৩০
নির্বাচনি সহিংসতায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতরা
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সহিংসতায় প্রায় ২০ আহত হয়েছে। আশ্রাফপুর নতুন বাজার সংলগ্ন গনিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইর্ডি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দু’টি ককটেল ফাটিয়ে ত্রাশ সৃষ্টি করে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এতে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

ওই ইউনিয়নের পিপলকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে। দুর্বৃত্তরা ব্যালট ভর্তি ভোটের একটি বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এছাড়া একটি খালি ব্যালট বাক্স মেঝের উপর আছড়িয়ে ভাংচুর করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। প্রায় আধঘণ্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সামাদ (আনারস) জানান, দুপুর ১টার দিকে তাঁর প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মীরা জোরপূর্বক প্রসন্নকাপ সরকারি কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাঁর এজেন্টদেরকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এতে তাঁর ৪ এজেন্ট আহত হয়। বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্দ এলাকায় নয়াকান্দি গ্রামের শহিদের ছেলে শরিফ (২২) কে ভোট কেন্দ্রে আসার সময় হাতিরবন্দ রব মেম্বারের বাড়ির নিকট আসলে তাকে ছুরিকাঘাত করাসহ আরো কয়েকজনকে পিটিয়ে আহতকরে।শরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানান সাচার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন। এদিকে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নির্বাচনি সহিংসতায় শরিফ মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরে।

সন্ধ্যায় পৌনে ৮টার দিকে বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা গ্রামের দক্ষিণপাড়া মো. মফিজুর রহমানের বাড়ির নিকট আনারস প্রতিকের কর্মী-সমর্থকা ঘোড়া প্রতিকের সমর্থক বুলবুল (৫০) কে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে তার চাচা শহিদুল ইসলামের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। আহত বুলবুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিকাল ৩টার দিকে বিতারা কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী শাহজাহানের কর্মী-সমর্থকরা মো. ইউনুছ মেম্বারের সমর্থক হাছান (১৮) কে মারধর করে। সে বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বরুচর কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে নাহারা গ্রামের মেম্বার প্রার্থী হাজী কাউছারের সমর্থকদের উপর বরুচর গ্রামের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মনির মোল্লার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভোট বাক্ত ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। হামলায় গাজী কাউছারে সমর্থক হান্নান (৫০), হাবীব (২৫), নুরুল ইসলাম (৫০), রাকিব (২০), শাকিব (১৮), আল আমিন (২৫), বশির উল্লাহ (৪৫), কাউছার (৪০) ও সেলিম (২৫)সহ বেশ ক’জনকে মারধর করে আহত করে।

তারা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাসাবাড়িয়া কেন্দ্রে মোরগ প্রতীকের সমর্থকরা ফুটবল প্রতীকের সমর্থক দুলাল (৫০), সাইফুল (৩৫), কাউছার (২৮), মহসিন (৩০), নয়ন (৩৫), আবুল (৭০)সহ বেশ ক’জনকে মারধর করে। এছাড়া নির্বাচনি সহিংসতায় উজানী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. শাকিল (২৩), সফিউল্লার ছেলে ফরহাদ (২৭) কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়