মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

মুক্তা পীযূষ
টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

‘সে যুগ হয়েছে বাসি,

যে যুগে পুরুষ দাস ছিল নাকো, নারীরা আছিল দাসী।’

নারীর অন্তর্গত বহ্নিশিখাকে অবলোকন করে এ কথা বলেছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং আমরা এখন এর প্রতিফলন লক্ষ্য করছি সমাজের অনেক ক্ষেত্রেই। গ্রামের নারীরাও এখন আর অবহেলিত বা নির্যাতিত নন, যা একটি জাতির উন্নয়নের জন্যে খুবই জরুরি। একসময় নারীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পেতো। আজ সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। নারীরা সুশিক্ষার কারণে ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শিখেছে, এখন আর কোনো নারী নীরবে অন্যায় সহ্য করে না, প্রতিবাদ করে। বাবা-মা এখন আর ছেলে-মেয়ের মধ্যে পার্থক্য খোঁজেন না। সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত-এ কথা আমরা সবাই জানি। এছাড়া উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে শিক্ষা। জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নেপোলিয়নের উক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়--‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ বিশ্ব নেপোলিয়নের এই উক্তির মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই বর্তমানে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। কারণ, একজন মেয়েকে শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। বৃহদার্থে সমাজ ও দেশকে উন্নত করা। তাই, জাতির কল্যাণ অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া নারীরা পেছনে পড়ে থাকলে দেশ উন্নতি করতে পারবে না। নারী শিক্ষা ও উন্নয়ন পরস্পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। কেননা, প্রকৃত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে সমাজের সার্বিক কার্যক্রমে দেশের নারী জনশক্তির অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। পূর্বে নারী শিক্ষা গ্রহণকে অলাভজনকভাবে দেখা হতো। মেয়েদের লেখাপড়া করাতে খরচ হবে, বিয়ে দেওয়ারও খরচ আছে--এসবের জন্যে পূর্বে কন্যা শিশুর শিক্ষার প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে মেয়েশিশুদের বিষয়ে আলাদা দৃষ্টি দেওয়ার কারণে স্কুলে তাদের ঝরে পড়ার সংখ্যা এখন খুবই সামান্য।

সরকার নারী শিক্ষা প্রসারে বিশেষ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগের পাশাপাশি উপবৃত্তি দিচ্ছে। ফলে নারী শিক্ষা উন্নয়নে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। দেশে বর্তমানে শিক্ষার হার ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ। মেধায় মেয়েরা ছেলেদের থেকে কোনো অংশেই কম নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের চেয়েও ভালো রেজাল্ট করছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সরব উপস্থিতি জানিয়ে দেয় বাংলাদেশের নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমেছে আগের তুলনায়। নারী-পুরুষ এখন সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে নারী-পুরুষ কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। একে অন্যকে সহযোগিতা করছে সব ক্ষেত্রে।

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দেশের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা নারীকে পেছনে রাখার সুযোগ নেই। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অনেক অবদান রয়েছে। নারী মুক্তি ও নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য অবসান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘে "নারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ" সনদে স্বাক্ষর করেছে। (Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women-CEDAW)

দেশের উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ এবং অবদান এখন দৃশ্যমান। উন্নত বিশ্বের নারীদের মতো বাংলাদেশের নারীরাও শিক্ষা ও যোগ্যতা বলে নিজ নিজ অবস্থানে অবদান রেখে যাচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে নজর দিলেই এর প্রমাণ মেলে। দেশের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ দেশের উন্নয়নকে বেগবান করেছে। দেশের ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব শর্ত পূরণ করেছে।

বাংলাদেশে তিন দশকেরও বেশি সময় যাবৎ নারী নেতৃত্ব দেশ পরিচালনা করছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্য থেকে তো বটেই, উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারী সমাজ আজ ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য জনশক্তি হিসেবে কাজ করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নারীদের অবাধ প্রবেশের সুযোগ হয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে যুক্ত হচ্ছে এদেশের নারীরা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের প্রশংসা করছে। 'গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এসডিজি স্টেশনে পৌঁছার সাফল্য অর্জন করবে। সে পথেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীশিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার ফলে এই সাফল্য।

নারীর উন্নয়নে এবং সমাজে সর্বক্ষেত্রে পুরুষের সমান অবদান রাখতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাও কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দেশেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। একসময় নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারতো না, কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হতো। সামর্থ্য থাকার পরও আমাদের জনশক্তি কাজে লাগানোর সুযোগ ছিল না, অব্যবহৃত থাকতো বিপুল জনশক্তি। শিক্ষার অভাবে আমাদের নারী সমাজ পিছিয়ে ছিল অনেক দূর। নারীদের অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর জগতে আনার জন্যে বেগম রোকেয়া আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রচেষ্টার সফলতা দেখে যেতে পারেননি। আজ নারীদের অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে নারীর সরব উপস্থিতি সমাজ ও দেশের অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছে। নারীরা এখন দেশের অর্থনীতির জন্যে বোঝা নয়, সম্পদ। আজ দেশে এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে নারীদের অবদান নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আমাদের জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী নারী। শুধু সংরক্ষিত আসনেই নয়, পুরুষদের সঙ্গে সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে অবদান রাখছেন নারী। চাকরিক্ষেত্রে কোটার বাইরেও মেধার প্রতিযোগিতায় মেয়েরা পেছনে ফেলছে ছেলেদের। কর্মক্ষেত্রে নারীর কর্মনিষ্ঠা সবার কাছে প্রশংসিত। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান খাত তৈরি পোশাক। উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এ শিল্পের প্রধান কারিগর নারী। প্রতিবছর বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার আয় করে তৈরি পোশাক রপ্তানি করেই। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এ শিল্পে নিয়োজিত। তারা নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছেন।

কর্মক্ষেত্রের সব পর্যায়েই নারীর অবদান সবার দৃষ্টি কেড়েছে। একসময় এনজিওতে নারীরা কাজ করলেও মানুষ বাঁকা চোখে তাকাতো। আজ তারাই মেয়েদের কাজ করতে উৎসাহিত করছে। দক্ষতার সঙ্গে নারীরা সফলভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে নারী। নারীরা এখন বিদেশে গিয়ে কাজ করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই নারী কর্মীদের বিপুল চাহিদা রয়েছে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম। এক কোটির বেশি জনশক্তি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত। নারী কর্মীদের আগ্রহের কারণে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। নারীরা যাতে প্রতারিত না হয়, হয়রানির শিকার না হয় সে জন্যে তাদের সহায়তা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বিদেশে বাংলাদেশে নারী কর্মীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহান জাতীয় সংসদ সব জায়গায় নারীর প্রত্যাশিত অংশগ্রহণ নতুন যুগের সূচনা করেছে। দেশে-বিদেশে কর্মক্ষেত্রে নারী তাদের দক্ষতা, মেধা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তারা এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে। এসএমই লোনসহ নারী ব্যবসায়ীদের জন্যে সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। নারীদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও নারী ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে রপ্তানি হচ্ছে। নারীঘন এ শিল্প এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বিপুলসংখ্যক গ্রামের নারী এখন জাতীয় উৎপাদনে অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে দ্রুতগতিতে।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী উদ্যোগ ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পে নারীদের নামে বরাদ্দ দেয়ায় দেশে নারী জাগরণে বিপ্লব ঘটেছে। এর মাধ্যমে নারীরা সংসারের স্বাভাবিক কাজের মধ্যে নিজেদের উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। কাজের সুফল এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরাও ভোগ করছে। নারীদের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, সচেতনতা বেড়েছে, দায়িত্বশীলতা বেড়েছে।

নারীদের সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। বাল্যবিয়ের হার কমেছে। কাজ করে কম মজুরি দেওয়া বা নারীদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করার সুযোগ আর নেই। তবুও হিংস্র পশুরূপী মানুষ দ্বারা নারী নির্যাতন হলেও তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগের কারণে প্রতিবাদের হার বেড়েছে। থানায় নারী ও শিশু ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে এখন এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা কমে এসেছে। কোনো ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার বিচার হচ্ছে। এটি একটি সভ্য সমাজের জন্যে খুবই জরুরি।

নারীর কাজের পরিবেশ, মূল্যায়ন ও উৎসাহ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়ে যাবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। আর সে জন্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নারী-পুরুষকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে, কাজ করতে হবে একসঙ্গে।

লেখক : সাবেক সভাপতি, ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রাল; সভাপতি, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়