প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ধরুন, আপনি একটি অনুষ্ঠানে গেলেন? সেখানে গুণীজনরা বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। একটি প্রশ্ন দর্শকের উদ্দেশ্য ছুড়ে দিল। এই মুহূর্তে আপনি কী ভাবছেন? একবার মনে মনে ভাবছেন, আমি প্রশ্নের উত্তর দিব। আবার ভাবছেন আমারটা সঠিক হবে কি? আবার ভাবছেন, থাক দাঁড়াবো না। আবার ভাবছেন, ইস্! একবার যদি দাঁড়াতে পারতাম। এমনটা ভাবতে ভাবতে অনেকে হাত তুলেছে। ঠিক তার মধ্য থেকে একজনকে স্টেজেও হাজির করালো। মাইক্রোফোন দিল, সে কথা বলছে এবং যা বলছে তা কিন্তু সঠিক উত্তর নাও হতে পারে। একটু কি ভেবেছেন, তার স্টেজে যাওয়ায় কী উপকার হলো? আপনি ভাবতে ভাবতে আমি বলছি। তার মুখটা সবাইকে মুখস্থ করিয়ে নিল।
প্রথমত উপকার : সবাই তার নাম ও ঠিকানা জেনে গেল। দ্বিতীয়ত : সে স্টেজে ওঠার যে ইচ্ছা তাও পূরণ হলো। তৃতীয়ত : মাইক্রোফোন ধরা শিখে গেল। চতুর্থত : সে সাহস সঞ্চয় করল। পঞ্চমত : সবাই তার কথা খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনলো। ষষ্ঠত : তার জড়তা দূর হলো। সর্বশেষ সবাই তাঁর সাহসিকতা নিয়ে আলোচনা করলো। বলুন তো, যদি সে স্টেজে না যেত তাহলে তাকে কে চিনত? কেউ না, কেউ না, কেউ না। সে আরও অনেকের মত সারাজীবন দর্শকই থাকতো, কখনও তার নাম সবার কাছে মুখস্থ বা মনে রাখার মত হতো না। তাই কৌশল হলো ভীড়ের মাঝে নিজেকে ফুটিয়ে তুলুন, নিজেকে মূল্যবান করে তুলুন। তাই যেকোন পাবলিক প্লেসে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন। মনে রাখবেন, অন্যেকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো কাজ না করলে এই পৃথিবীর কেউ আপনাকে মনে রাখবে না। তাই অন্যের মনে রাখার মত কাজ করুন। শুধু একটু কৌশুলী হোন, ব্যতিক্রম হোন, সাহসী হোন। নিজে পরিচিত মুখ হোন, আত্মতৃপ্তির সাথে বেঁচে থাকুন।