বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

পর্যটন ব্র্যান্ডিং ও প্রসারে করণীয়
অনলাইন ডেস্ক

একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যাত্রায় অনন্য অবদান রাখতে পারে পর্যটন শিল্প। অনেক উন্নত-উন্নয়নশীল দেশের আয়ের প্রধান উৎস পর্যটন। করোনা মহামারির ফলে পৃথিবীর গতিপথে এসেছে আমূল পরিবর্তন। দুই বছরের অধিক সময় ধরে প্রবহমান করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। তবে করোনা মহামারির পূর্বের এক দশকে (২০০৮-২০১৮) বিশ্বজুড়ে পর্যটক বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। করোনা মহামারির সময় বিশ্বব্যাপী পর্যটক সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল, তবে মহামারির গতি ধীর হওয়ার পর আবার ধীরে ধীরে পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে।

করোনার সময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পর্যটন শিল্প। অন্যদিকে করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম যে পাঁচটি সেক্টর চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে পর্যটন উল্লেখযোগ্য। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি পর্যটনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য পর্যটন প্রসারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর অন্যতম মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ‘আই লাভ অস্ট্রেলিয়া’ পেজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণ করছে।

ইউরোপের দেশ চেক রিপাবলিক, যার রাজধানী প্রাহা, ইনস্টাগ্রামে ‘প্রাহা ওয়ার্ল্ড’ পেজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য পর্যটনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। বাংলাদেশে করোনা পরবর্তী মুহূর্তে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম জায়গায় রয়েছে অভ্যন্তরীণ পর্যটন।

করোনা পরবর্তী সমগ্র বিশ্বজুড়ে পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটক বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পর্যটকদের চাহিদায় গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। সেই সাথে দেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এই শিল্পের উৎকর্ষতা, দুর্বলতা, সম্ভাবনা ও সংকট উত্তরণের পথ চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন ও প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের অপার সম্ভাবনা ও তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ দেশীয় ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসে কক্সবাজারে। এখানে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাপ ট্যুরিজম পার্ক ও সোনাদিয়া ইকো পার্ক নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০০ কোটি ডলার আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পৃথিবীর বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, যার মোট বনভূমির ৬০ শতাংশ রয়েছে বাংলাদেশে, যা বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃত লাভ করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য একে নান্দনিক পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্যে পরিণত করেছে।

নান্দনিক বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা। এই অঞ্চলে রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মালনীছড়া চা-বাগান ছাড়াও জাফলং, লালাখাল, বিছানাকান্দি, পাংথুমাই ঝরণা, সোয়াফ ফরেস্ট রাতারগুল ও হাকালুকি কানাঘাইট।

হাজার বছরের পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। বগুড়ার মহাস্থানগড়, বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, পানামণ্ডনগর, সোনারগাঁও, বড় কাটরা, ছোট কাটরা উল্লেখযোগ্য পর্যটন গন্তব্য।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পর্যটনের মূল উপকরণ হলো পাহাড় ঘেরা সবুজ প্রকৃতি, যা ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দেয় পর্যটকদের কাছে। শীতে পাহাড় কুয়াশা ও মেঘের চাদরে ঢাকা থাকে, সেই সাথে সোনালী রোদের আভা, আবার বর্ষায় চারিদিকে সবুজের সমারোহ, প্রকৃতি ফিরে পায় তার আপন রূপ। তাই অ্যাডভেঞ্চার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো।

সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রমোদতরীতে সমুদ্রভ্রমণ, সমুদ্রে মাছ শিকার, নৌকা পরিষেবা, ওয়াটার স্কিইং, জেট স্কিইং, সাং সেইল বোর্ডিং, সি কায়াকিং, স্কুবা ডাইভিং, সমুদ্রে সাঁতার, দ্বীপ ভ্রমণ, ভাসমান রেস্টুরেন্ট, জলক্রীড়া ইত্যাদি। অন্যদিকে উপকূলভিত্তিক পর্যটন, যেখানে পর্যটকরা উপকূলীয় পরিবেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করে। উপকূলভিত্তিক পর্যটনের মধ্যে রয়েছে সাঁতার, সার্ফিং, বিচ কার্নিভাল, লাইভ কনসার্ট, মেরিন অ্যাকুরিয়াম ও মেরিন মিউজিয়াম উপভোগ এবং অন্যান্য।

পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চালের ২১টি জেলার সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগসূত্র স্থাপন করেছে। যার ফলস্বরূপ কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর ও সুন্দরবনে পর্যটক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত দেশের অভ্যন্তরে হোটেল-মোটেল-রিসোর্টগুলোয় রুমের ভাড়া, যাতায়াত খরচ, খাবার খরচসহ পুরো ট্যুরিজম প্যাকেজের মূল্য পার্শ¦বর্তী দেশের ভ্রমণ প্যাকেজের চেয়ে বেশি পড়ে বিধায় অনেক পর্যটক নিজ দেশ ভ্রমণ না করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় ভ্রমণ করতে যায়।

এই সময়ে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর পর্যটক আকর্ষণে কিছু পদক্ষেপ নিম্নরূপ : বিশ্বায়নের এই সময়ে ক্রস-বর্ডার পর্যটন ও আঞ্চলিক পর্যটন এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। নেপাল পর্বতারোহীদের পছন্দের দেশ হলেও সাধারণ পর্যটকরা এখানে হিমালয়ের পাশ থেকে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার পাশাপাশি শত বছরের পুরানো মন্দির, আকাশচুম্বী পর্বতমালা, জলপ্রপাত, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি উপভোগ করে। নেপালে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কারণ হলো, কম বাজেটের পর্যটন প্যাকেজে নেপালের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘোরা সম্ভব।

ইন্ডিয়ার ই-টুরিস্ট ভিসা বা ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইনে সুযোগ থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বিদেশি পর্যটক ভারতে ভ্রমণ করে। ভারত এমন এক দেশ, যেখানে হাজারের ওপর পর্যটন আকর্ষণসহ বহু বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণে অনন্য ভূমিকা রাখছে।

ভারতের পর্যটন আকর্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : আগ্রার তাজমহল, গোলাপি শহর জয়পুর, লেহ লাদাখ, সিমলা, দার্জিলিং, গোয়া। এই পর্যটন আকর্ষণগুলোয় অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ট্যুরিজম প্যাকেজ, ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পর্যটক-বান্ধব মানসিকতা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত ছোট্ট দেশ ভুটান। ভুটানের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে রাজধানী ও অন্যান্য শহরে যেতে প্রায় সবখানেই যেতে হয় পাহাড়ের সরু রাস্তার ওপর দিয়ে, যা অ্যাডভেঞ্চার পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট, তথ্য-প্রযুক্তি, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ অবকাঠামো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পর্যটকদের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের ইতিবাচক মনোভাব ও ভৌগোলিক সৌন্দর্য ভুটান ভ্রমণের অন্যতম নিমিত্ত।

শ্রীলঙ্কার দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলম্বো, অনুরাধাপুর, ক্যান্ডি, পোলোন্নরুভা, এডামস পিক ও বৌদ্ধ মন্দির, কেলানিয়া রাজা মহাভিহার উল্লেখযোগ্য। শ্রীলঙ্কার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পর্যটন খাতের অংশীজনের যৌথ উদ্যোগে দেশটিতে পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে। ট্যুরিজম প্যাকেজ, অন-অ্যারাইভাল ভিসা ও পর্যটন আকর্ষণগুলো পুনরায় ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণ করছে।

ভারত মহাসাগরে সুনীল পানিবেষ্টিত দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। প্রায় ১২০০ ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশের আয়ের প্রধান উৎস পর্যটন। মালদ্বীপে সাধারণত ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকান ও চীনা পর্যটক বেশি আসেন। তার কারণ হলো নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটক নিরাপত্তা, বিদেশি বিনিয়োগ, পর্যটন আকর্ষণগুলোর ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং ও মানসম্পূর্ণ হোটেল ও রিসোর্ট।

দেশে সুনীল পর্যটন উন্নয়নের জন্য সমুদ্রবন্দরসমূহ আধুনিকায়ন, সমুদ্রবন্দরকর্মীদের পর্যটনবান্ধব করা, স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ, ভিসা নীতিমালায় সমুদ্রবন্দর অন্তর্ভুক্ত করা, অনবোর্ড ইমিগ্রেশন, পর্যটকবাহী জাহাজে অনবোর্ড কাস্টমস সুবিধা, সমুদ্রভ্রমণ প্রমোদতরী আগমনের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুত ও সহজে অনুমতি প্রাপ্তি ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেই সাথে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃআঞ্চলিক সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন বিকাশের জন্য আধুনিক ক্রুজশিপ ক্রয়, প্যাকেজ ট্যুর চালু এবং সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় ডেস্টিনেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং ও প্রমোট করার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার।

দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য পর্যটন শিল্পে কর্মরত সকল কর্মীর মধ্যে নিয়মিত ও খণ্ডকালীন সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত করা দরকার, যাতে করে পর্যটন কর্মীরা উন্নত বিশ্বের ন্যায় পর্যটকদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।

দেশের উল্লেখযোগ্য পর্যটন আকর্ষণগুলো চিহ্নিতকরণ, পর্যটন আকর্ষণগুলোয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্তকরণ, লোকাল হ্যারিটেজ ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণ করার প্রক্রিয়াটি সহজতর করতে হবে।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণে ও পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন-বাজেট ট্যুরিজম প্যাকেজ, ভিসা নীতিমালা সহজীকরণ, অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি, ই-ভিসা, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়, পর্যটন আকর্ষণে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, পর্যটন আকর্ষণগুলোর ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং, পর্যটন আকর্ষণগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, চলমান পর্যটন সংশ্লিষ্ট মেগা প্রজেক্ট সমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন, পর্যটন খাতে আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়ন, সমুদ্র পর্যটন প্রসারের জন্য ভিসা নীতিমালায় সমুদ্রবন্দর অন্তর্ভুক্তিকরণ, পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান দ্রুত প্রস্তুতকরণ ও পর্যটকদের প্রতি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধিকরণ উল্লেখযোগ্য, যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে অনন্য অবদান রাখবে।

লেখক : অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব : চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়