মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

বিদ্যুতের এ কী অবস্থা ?

বিদ্যুতের এ কী অবস্থা ?
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা যেমন আছে, তেমনি অনিবার্য কিছু সঙ্কট আছে, আবার সম্ভাবনাও আছে। এগুলোর সমন্বয় করে কেউ কেউ সরকারি প্রতিষ্ঠান ভালো চালায়, জনস্বার্থে আত্মনিবেদন নিশ্চিত করে এবং নিজের দক্ষতা ও পারঙ্গমতার সর্বোচ্চ রূপ প্রদর্শন করে। চাঁদপুর জেলায় সরকারি, বেসরকারি ২টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু রয়েছে এবং আরেকটি নির্মাণাধীন। এমতাবস্থায় এ জেলায় গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর মতো বিদ্যুতের কোনো সঙ্কট নেই। সঙ্কট হচ্ছে জনবলের এবং কম-বেশি জীর্ণতায় আক্রান্ত সঞ্চালন লাইনের। এতদ্সত্ত্বেও চাঁদপুর শহর ও শহরতলীতে কোনো কোনো নির্বাহী প্রকৌশলী তাঁর নেতৃত্ব ও দক্ষতায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সক্ষম হন এবং আবার কোনো কোনো নির্বাহী প্রকৌশলী ব্যর্থ হন। যেমন ব্যর্থ বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান।

চাঁদপুর শহর ও শহরতলীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কেমন সেটা রোববার (১৭ অক্টোবর) চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যেই ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে ( আমার এলাকায়) রোববার সকাল থেকে চার ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো না। এভাবে প্রতিদিনই তিন-চার ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বন্ধের দিনেও হয় লোডশেডিং। আমার মনে হয়, আমি কেনো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এজন্যেই আমার এলাকায় লোডশেডিং দেখায়। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেন না। হয়তো কোনো কাজের ব্যস্ততায় ছিলেন। কিন্তু তার মোবাইলে আমার নাম্বারটা সেভ করা। তিনি পরেও কল করেননি। আমার বেলায় যদি এমন হয়, সাধারণ জনগণের কী হবে ?

সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর শহর ও শহরতলীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিলক্ষিত না হবার বিষয়ে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমানের নিকট যে বা যারা জানতে চেয়েছেন, তিনি তাদের কাছে অনেক অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জনবল সঙ্কট, যন্ত্রপাতি ও সঞ্চালন লাইনের জীর্ণ দশা, উন্নয়ন কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারের ক্লাজের শ্লথ গতি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাদের কাক্সিক্ষত সাড়া মিলে না। যার ফলে আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় না।

চাঁদপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিদ্যুতের দুরবস্থা নিয়ে প্রায়শই লেখালেখি হচ্ছে। এগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী ও তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টিগোচর বা কর্ণগোচর কোনোটাই হয় বলে মনে হচ্ছে না। রোববার আলোচিত হলো জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়। এবার দেখার অপেক্ষা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় এবং স্থানীয় এমপি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কী উদ্যোগ নেন। সত্যিই চাঁদপুর শহর ও শহরতলীর বাসিন্দারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেয়ে অনেক বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়