মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে

ফরিদগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের ১ম পৃষ্ঠায় ‘সরকারের মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে ॥ ফরিদগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে’ শিরোনামের সংবাদটি সচেতন পাঠকমাত্রেরই নজর কেড়েছে। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, বর্তমানে ফরিদগঞ্জে ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) রয়েছে। ৩৭টিতে কার্যক্রম চলমান আর বাকি ২টি চালুর অপেক্ষায়। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হলেন সিসির মূল দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তিনি শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহের ৬দিন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী প্রতি সিসিতে মাঝে মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রতিটি সিসিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার প্রতি সপ্তাহে একদিন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো সিসিতে গত ২ বছরেও দেখা মিলেনি এমন ডাক্তারের। কোনো কোনো সিসিতে সাড়ে ১২টা, কোনোটিতে সাড়ে ১০টায় গিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়। এটি যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তার তদারকির অভাবে বা ঔদাসীন্যে হচ্ছে-সে ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার আওতায় আনা যায় না। এ স্বাধীনতার পর পঞ্চাশ বছরের মধ্যে নিঃসন্দেহে একটি উদ্ভাবনী পদক্ষেপ, যাতে সরকারের মহৎ ইচ্ছা ও উদ্যোগের প্রতিফলন ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করে কমিউনিটি ক্লিনিক সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করেন। গ্রামের প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্যে একটি করে ক্লিনিক নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শেষ হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার চালু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে জোট সরকার এসে এসব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ নেয় এবং ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার পর পুরোদমে চালু হয় এই ক্লিনিক। বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার ক্লিনিক চালু অবস্থায় আছে, যেখানে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও পুষ্টিসেবা পায় এবং ২৭ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে পায়। বলা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি স্বাস্থ্য সেবাকে গ্রামীণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।

আমরা স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো উদ্ভাবনী পদক্ষেপ কারো অবহেলা, ঔদাসীন্য ও তদারকির অভাবে ভেস্তে যাক এটা মোটেও ভাবতে পারি না। ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীরও ভাবনা তা-ই। অভিযোগ রয়েছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চাঁদপুর শহরে সপরিবারে থাকেন। ছোট-বড় যানবাহনের ডেইলি প্যাসেঞ্জার হয়ে তিনি ফরিদগঞ্জে গিয়ে দায়িত্ব পালন করেন, যেটা সম্পূর্ণ অসঙ্গত। পরিণতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান যেমন পূর্বের ন্যায় নেই, সেখানে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা কী হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়