বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

জেলা প্রশাসকদের আচরণের পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
জেলা প্রশাসকদের আচরণের পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হবে

চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা নতুনভাবে কাজ করতে চাই। কাউকে দোষারোপ করবো না। নতুনভাবে আমাদের কাজগুলো শুরু হবে। এক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। আর এসব কাজে সকলের সহযোগিতা লাগবে। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাঁদপুর জেলা, শহর ও সদর জামায়াত নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনাগুলো যেভাবে আসবে, ওইসব কাজ গুরুত্ব দিয়ে করা হবে। আপনারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। এসব বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করা হবে এবং সেভাবে কাজ করবো। আপনারা আগের জেলা প্রশাসককে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, আমাকেও সেভাবে সহযোগিতা করবেন।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার আমির মাওলানা আবদুর রহিম জেলা প্রশাসকের অবগতির জন্যে বলেন, চাঁদপুর জেলায় সুন্দর রাজনৈতিক সহাবস্থান অনেক আগ থেকেই। তবে ৫ আগস্টের পরে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটেছে। তা আমাদের জেলার দীর্ঘদিনের সুনামের সাথে যায় না। আমরা চাই জেলার প্রধান হিসেবে আপনি এবং আপনার প্রশাসন স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ রেখে সেই শক্তি এবং সাহস দেন। জেলা ও উপজেলায় সকল ক্ষেত্রে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। জেলার সহকারী সেক্রেটারী, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের প্রকাশক ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেন, প্রশাসনকে আমরা সব সময় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিগত সরকারের কারণে সঠিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা যায়নি। জেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোকে সকলের অংশগ্রহণমূলক করা দরকার। কারণ দীর্ঘদিন এসব সংগঠন একই ব্যক্তিরা দখল করে আছে ও ছিলো। এগুলোকে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে।

নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে কাজ করার ব্যাপারে চাঁদপুরের জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাছে নবাগত জেলা প্রশাসকের ব্যক্ত সদিচ্ছাকে আমরা সাধুবাদ জানাতে চাই। অতীতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকগণ শাসক দলের এক নেতার প্রভাব, তদবির ও নির্দেশনায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে কতো কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি তুলে ধরা কঠিন। মনে হতো, সেই নেতাই বুঝি জেলা প্রশাসনকে চালাচ্ছেন। অন্যান্য দলের নেতাদের ভালো পরামর্শ শোনার সুযোগও ছিলো না জেলা প্রশাসকদের। কারণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই নেতা ও তার লোকজনের যাতায়াত ও পর্যবেক্ষণ প্রতি কার্যদিবসে, এমনকি ছুটির দিনেও ছিলো। ওই নেতার অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ থাকলেও জেলা প্রশাসক ও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিশ্চুপ থাকতেন। এতে সুশাসনের কাজটা বারবার বিঘ্নিত হয়েছে এবং অনেক অন্যায় সম্পাদিত হয়েছে। এতে বিচারের বাণী কেবল নিভৃতেই কেঁদেছে। এতো কিছুর পরও সেই নেতা নিরাপদে আছেন, কোনো মামলার আসামি হবার হাত থেকে বাঁচতে কৌশলী চেষ্টায় সফল হয়ে চলছেন। এটা নিয়ে সাধারণ্যে প্রচলিত আছে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলাকালেও এমন কোনো নতুন নেতা বা নেতাদের প্রভাবে জেলা প্রশাসক সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সচেতন ব্যক্তিবর্গকে যাতে এড়িয়ে চলতে না হয়, সে ব্যাপারে শুধু চাঁদপুর নয়, সারাদেশে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের আচরণে ও কৌশলে যাতে পরিবর্তন আসে, সে ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ থাকলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়