শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

কলম সৈনিকদের সাফল্য যেখানে

অনলাইন ডেস্ক
কলম সৈনিকদের সাফল্য যেখানে

সাম্প্রতিক সময়ে কলম সৈনিক তথা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা কম-বেশি কাজ করছে, সেটা হচ্ছে গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে আগের মতো ফল পাওয়া যায় না। এটা যে পুরোপুরি ঠিক নয়, সেটা অতি সম্প্রতি চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে প্রমাণিত হলো। সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে, ফরিদগঞ্জের কড়ৈতলী-শাশিয়ালী সড়ক : ইটের পরিবর্তে সড়কে ফেলা রাবিশ সরাচ্ছে ঠিকাদার'। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে,৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এমএ বারী মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৬৩০ মিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএম ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়রা জানান, সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম করে চলছেন। সড়কের কাজ নির্মাণে তিনি ইটের পরিবর্তে রাবিশ ব্যবহার করলে চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রথম দফায় নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কে ফেলা রাবিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে নিয়মানুযায়ী বালি ফিলিং করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু ঠিকাদার সুলতান আহমেদ সেই অঙ্গীকার রাখেননি। তিনি ওই রাবিশের উপর দিয়ে ম্যাকাডম করার কাজ শুরু করেন। ওই ঘটনাটির খবর আবারো চাঁদপুর কণ্ঠ ও যুগান্তরে প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রকৌশলী নিজে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নির্মাণ কাজ আবারো বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে সড়কে ইতিপূর্বে ফেলা রাবিশ সম্পূর্ণ সরিয়ে নেয়ার শর্তে কাজ শুরু করতে ঠিাকাদারকে নির্দেশ দেন উপজেলা প্রকৌশলী। সেই মোতাবেক গত দুদিন ধরে পর্যায়ক্রমে নির্মাণাধীন সড়ক থেকে রাবিশ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে ঠিকাদারের লোকজনকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আমান উল্লাহ, মোস্তফা মিলন, ইউনুছসহ কয়েকজন বলেন, এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে স্কুল মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই সড়কের দায়িত্বে যারা আছে, তারা সঠিক তদারকি করে আমাদের সড়কের কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে সহায়ক হবেন। কাজের বিষয়ে ঠিকাদার সুলতান আহাম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলজিইডির নির্দেশ অনুসারে রাবিশ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এম এ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে অনিয়মের কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। রাস্তায় ফেলা রাবিশ সরিয়ে নেয়ার শর্তে তাকে আবারো কাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছি।

আমরা মনে করি, ফরিদগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা কড়ৈতলী-শাশিয়ালী সড়কটির অনিয়ম নিয়ে বারবার না লিখলে ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ঠিকই কাজ শেষ করে ফেলতেন এবং বিল তুলে নিতেন। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মী এবং এলজিইডি, চাঁদপুর-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সচেতনতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। আমরা এজন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদেরকে। আমরা সর্বোপরি এটিকে গণমাধ্যম কর্মীদের সাফল্য হিসেবেই মনে করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়