শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

আশুরার শিক্ষা : জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের জিহাদ

অনলাইন ডেস্ক
আশুরার শিক্ষা : জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের জিহাদ

আবহমানকাল থেকে বিশ্ব মুসলিমের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে কিছু ঘটনা, কতেক দিবস; যেগুলো মানুষের হৃদয়ে দেদীপ্যমান। এগুলোর অন্যতম ১০ই মহররম কারবালার প্রান্তরে হৃদয় বিদারক ঘটনার কালো অধ্যায়। যে দিবসটাকে আশুরা দিবস বলা হয়। এই আশুরার দিনে সংঘটিত হয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে অনেক নাবী আলাইহিস সালামগণের জীবনে ঐতিহাসিক ঘটনা এই আশুরার দিনে ঘটেছে। খানায়ে কাবা ধ্বংস করতে আসা বাদশা আবরাহার ধ্বংসও এই আশুরার দিনে। কিন্তু সকল ঘটনা ছাপিয়ে যে ঘটনা আজো পর্যন্ত শুধু নয়, কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের অন্তরাত্মাকে প্রবলভাবে নাড়া দিবে, ইতিহাসের সবচে বেশি আলোড়িত ঘটনা, সেটা হলো ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরের মর্মন্তুদ ঘটনা। মুসলিম উম্মাহর মাঝেই শুধু নয়, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন সকল মানুষের মনে কারবালায় পাপাত্মা ইয়াজিদ বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত মর্মন্তুদ ঘটনা আলোড়িত হয়। এদিনের কারবালার করুণ ঘটনাই আশুরায় প্রাধান্য পেয়েছে। জালিমের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ যে ন্যায় সংগত তা নবী দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহুসহ তাঁর সাথী আহলে বাইতে রাসুলগণ রক্তের আঁকড়ে লিখে গেছেন। তাঁরা শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করে বিশ্ববাসীর জন্য এ নজির রেখে গেছেন-মুসলমান মাত্রই অন্যায়, অসত্য, অত্যাচার ও স্বেচ্ছাচারিতার কাছে মাথা নত করে না। তাই মাত্র ৭২ জনের ক্ষুদ্র অথচ ঈমানের বলে বলীয়ান কাফেলাকে নিয়ে এজিদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন প্রতিরোধের দেয়াল এবং অম্লান বদনে শাহাদাতের পথ বেছে নেন। সে সময় ইয়াজিদ, ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ, সা’দ বিন আমর প্রমুখ ভেবেছিল তাদের জয় হয়েছে। তারা সাময়িকভাবে আত্মতুষ্টি লাভ করলেও পরে তীব্রভাবে নিন্দিত হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এসব নাম উচ্চারিত হয় ঘৃণার সাথে। পক্ষান্তরে মানবসভ্যতা কার্যতঃ সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা ও অন্যায়ের মূলোৎপাটনে কারবালার শহীদন থেকে দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা লাভ করে আসছে। সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব যেহেতু অব্যাহত ধারায় চলে আসছে, সেহেতু কারবালার ঘটনা ম্লান হচ্ছে না। ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইমাম যে আপসহীন ছিলেন, সে আদর্শ থেকে মুসলিম বিশ্ব এবং মানবসভ্যতা দূরে সরে গেছে। সে কারণে ক্ষুদ্র ইসরাইলিরা রক্তগঙ্গা বয়ে দিচ্ছে ফিলিস্তিনে। আর পাশের আরব দেশগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

পরিশেষে বলবো-আশুরা আমাদের শিক্ষা দেয় অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে সংখ্যায় স্বল্প হলেও লড়ে যাবার প্রেরণা। অবিচার অনাচার দুরাচার ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন থাকার শিক্ষা। বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারবালার এ শিক্ষা মুসলমানদের জন্য তথা সমগ্র মানবগোষ্ঠীর জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়