শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

পিবিআই’র মনকাড়া সাফল্য

অনলাইন ডেস্ক
পিবিআই’র মনকাড়া সাফল্য

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভিন্ন মামলায় এমন কিছু সাফল্য প্রদর্শন করছে, যাতে বিচারপ্রত্যাশী মামলার বাদীর শুধু মন ভরছে না, পিবিআই সাধারণ মানুষেরও মন কাড়ছে। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ছাপা হয়েছে পিবিআইর মনকাড়ার মতো একটি সাফল্যের খবর, যার শিরোনাম হয়েছে ‘অপহরণ মামলার তিন বছর বয়সী শিশু উদ্ধার করলো পিবিআই’। খবরটিতে লিখা হয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামের তিন বছর বয়সী শিশু মাহিয়া আক্তার (ছদ্মনাম) নিজ বাসা হতে বের হয়ে রাস্তার দিকে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে মামলা হয় থানায়। মামলার বাদী ফাহিমা বেগম তার দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজশে শিশুটিকে ঘটনাস্থল হতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস তদন্ত করার পরেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারে নি। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পিবিআই চাঁদপুরকে দায়িত্ব দেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্তকালে পিবিআই চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় একটি বিশেষ টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ জুলাই অনুমান ১০টার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ঢালিরঘাট এলাকায় অভিযান চালায় এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে। ৭ জুলাই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক শিশুটির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করত তার মায়ের জিম্মায় প্রদান করেন। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে পিবিআই’র মাদার অর্গানাইজেশন। ২০১১ সালে পুলিশ অ্যাক্টের একটি ধারার ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে পিবিআই গঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি আধুনিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত তদন্ত সংস্থা হিসেবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে পিবিআই যাত্রা শুরু করে। তবে সাথে সাথেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারে নি। অপেক্ষা করতে হয় কয়েক বছর। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি পিবিআই’র জন্যে নিজস্ব বিধিমালা অনুমোদিত হবার পর পিবিআই মামলা তদন্তের কার্যক্রম শুরু করে।

পিবিআই শক্তিশালী হয়ে উঠে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বনজ কুমার মজুমদারের মতো চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তা যখন ডিআইজি হিসেবে পিবিআইতে যোগদান করেন। তারপর তিনি অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআই প্রধানরূপে এই সংস্থাটিকে নিয়ে যান সুনামণ্ডসুখ্যাতির উচ্চ শিখরে। শুধু চাঁদপুরে নয়, দেশের প্রায় সকল জেলায় পিবিআই বিভিন্ন মামলার তদন্তে একের পর এক অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলছে। সেজন্যে মামলার বাদী তথা বিচারপ্রত্যাশীদের কাছে, এমনকি বিচারকদের কাছে পিবিআই বিশেষ আস্থার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তিন বছর বয়সী একটি অপহৃত শিশুকে পাঁচ মাসেও উদ্ধার করতে না পারায় সদাশয় বিচারক পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় সেই কাজের। মাত্র এক মাসে পিবিআই তাতে পায় সাফল্য। অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয় মায়ের কোলে। এটা নিঃসন্দেহে পিবিআই'র মনকাড়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এ সাফল্যে শুধু মামলার বাদী নয়, সাধারণ মানুষও ভীষণ খুশি। সবাই পিবিআইকে জানিয়েছে সাধুবাদ, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়