প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
পুরানো চিত্রে বারবার পুরাণবাজার!

এমন কোনো বছর নেই, যে বছরে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার কোনো না কোনো মর্মান্তিক ঘটনায় স্মৃতিবহুল না হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটছেই। একসময় এই ঘটনার পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক কমে যায়। আশাবাদী হয়ে উঠে পুরাণবাজারবাসী ও পুরো চাঁদপুর শহরবাসী। কিন্তু গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পূর্বে মধুসূদন হরিসভা হাইস্কুল মাঠে আড্ডা দেয়া নিয়ে নিতাইগঞ্জ ও মেরকাটিজ রোডের যুবকদের মধ্যে বিরোধহেতু সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত ও এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর পূর্বে তুচ্ছ ঘটনা, মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কারণে পুরাণবাজারে যে কতো অসংখ্যবার সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তার হিসাব দেয়া কঠিন। মঙ্গলবারের সংঘর্ষ সেমসাইডে অর্থাৎ সরকারি দলের দুটি গ্রুপের মধ্যে হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে।
চাঁদপুরে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালনকারী শামসুননাহারের কর্মকালে তিনি পুরাণবাজারে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মোটিভেশনের মাধ্যমে কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক ব্যবসা পরিত্যাগ করে স্বীকৃত পেশায় আত্মনিয়োগ ও সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি হ্রাসে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সফলতাও এসেছিলো তাতে। কিন্তু তার এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়ায় পুরাণবাজারে পুরানো চিত্র দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে। যেমনটি গত মঙ্গলবার রাতে দেখা গেল।
আমরা মনে করি, পুরাণবাজারে সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার নেপথ্যে কোনো না কোনো গড ফাদারের হাত থাকে। কিন্তু প্রতিটি ঘটনার পর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেই গড ফাদারকে চিহ্নিত ও তার মুখোশ উন্মোচন করা হচ্ছে না। ফলে পুরানো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এটা খুবই খারাপ বিষয়। আমরা এর অবসান চাই।