বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

বিরামহীন তিরিশের দ্বারপ্রান্তে চাঁদপুর কণ্ঠ

অনলাইন ডেস্ক
বিরামহীন তিরিশের দ্বারপ্রান্তে চাঁদপুর কণ্ঠ

প্রতিটি ভোর নতুন অরুণের ধাত্রী। ভোরের অরুণ নতুন দিনের দূত। প্রতিটি দিন গুরুত্বে ও চমৎকারিত্বে এক নয়। কোনো কোনো দিন তার নিয়তি ও ঘটনাবাহুল্যের কারণে অনিন্দ্য ও অবিস্মরণীয়। যেমনটি আজকের ভোর, আজকের নবরাগে আরক্তিম হয়ে ওঠা ঊষার আকাশ। তেমনি ঊনিশশো চুরানব্বই সালের সতের জুনের অরুণও ছিলো আজকের মতো আশার আহির ভায়েরো। সেদিন কেউ ভাবেনি জেলার বুকে আলোর মুখ দেখা সাপ্তাহিক অচিরেই সাড়ে চার বছরের মাথায় হয়ে যাবে ব্যস্ত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক। চাঁদপুরের প্রথম ও বহুল প্রচারিত পত্রিকা চাঁদপুর কণ্ঠের আজ তিরিশ বছর পূর্তি উৎসব। এই তিরিশে আঘাত হানেনি কোনো ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানেনি করোনার কীটাণু। এই তিরিশ বিরামহীন তিরিশ। কেবল যে আইলা-সিডরকে জয় করেছে তা নয়, বরং জয় করেছে চাঁদপুর ও ভার্চুয়াল জগতের লক্ষাধিক পাঠকের মন। বিরামহীন তিরিশের পথে এসেছে বিঘ্ন, এসেছে ঘনঘোরের ঘনঘটা। কিন্তু মানুষের কল্যাণে বাড়ি বাড়ি বার্তা পৌঁছানোর ব্রতে নিরন্তর তবু ছুটে চলেছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। নানা রুচির নানা মতের পাঠকের কাছে নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে নির্ভুল বানান ও ঝকঝকে ছাপায় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ আজ হয়ে উঠেছে ইলিশের বাড়ির ব্র্যান্ড। বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজকে নিজের আওতায় নিয়ে এসে জাতীয় পত্রিকার সমমান বজায় রেখে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ আজ পরিণত ও পরিশীলিত। মেঘনায় বয়ে গেছে সহস্র কল্লোল, কোটি কোটি ইলিশের ঝাঁক সমুদ্রের লবণ ঝেড়ে মা হয়ে বিচরণ করে গেছে ত্রিনদীর মিলন অববাহিকায়, কিন্তু দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ গুণে ও মানে সেই নিজস্বতা বজায় রেখে আজ পরিণত যুবকের শক্তি ধারণ করেছে।

সময়ের রাঙা চোখ পত্রিকাকে শাঁসিয়েছে, ক্ষমতার দাপট-দম্ভ তার নিঃশ্বাসে এনেছে হুমকি, তবুও কোনো আপোষ নেই, নেই কোনো তোষামোদ। আদি ও অকৃত্রিম নিজের সম্পাদকীয় আদর্শে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ ছিলো অটল ও বিশ্বস্ত। মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকে প্রতিটা অক্ষরে অক্ষরে ধারণ করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ প্রগতির পথে সারথি হয়ে এগিয়ে এসেছে জনতার কাতারে। যার কথা কেউ শোনেনি, তার কথা শুনেছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। যে শোষিত, যে নির্যাতিত কখনো বিশ্বাস করেনি তার আর্তনাদ আর বেদনার বাণী কেউ ছড়িয়ে দিবে, পৌঁছিয়ে দিবে যথা জায়গায়, সে-ও বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মমতার আশ্রয়ে। কলম ও কলামে সুন্দরের শক্তি ধারণ করে এ পত্রিকা জনস্বার্থকে আপন করে নিয়েছে প্রতিটা ছাপার হরফে।

পাঠক ও পত্রিকার মেলবন্ধন কত দৃঢ় হতে পারে তা দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীর আকাঙ্ক্ষা হতে সহজেই অনুমেয়। পাঠক হতে লেখক বানিয়ে যে দূরদর্শী প্রজ্ঞায় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ দিগ্-দিগন্তে ছড়িয়ে দিয়েছে গোধূলির ঐন্দ্রজালিক আলো তা কালের স্রোত জয় করে একদিন একালের কথক হয়ে উঠবে। মফস্বলের সবচেয়ে বড় বিঘ্ন হলো পত্রিকা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য। না রাখা যায় পত্রিকার দাম বেশি, না আছো তার লক্ষ পাঠক। তবুও এতো সীমাবদ্ধতাকে জয় করে চাঁদপুর কণ্ঠ টিকে আছে আত্ম মর্যাদা হরফে হরফে ধারণ করে।

চলমান যুগ হলো তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির আগ্রাসনে ছাপার হরফে পত্রিকাকে বাঁচিয়ে রাখা আজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের জন্যে কুরুক্ষেত্র জয়ের সমান। তবুও থাকতে নিঃশ্বাস শাশ্বত সুন্দরের জন্যে মানুষের সংশয়কে জয় করার সংগ্রাম চিরন্তন। রাত দুপুরে স্মার্ট ফোনের স্ক্রলে সংবাদের চুম্বক অংশ আগাম দেখতে পাওয়া পাঠকের কাছে একটি মফস্বল জেলা শহরের পত্রিকা কতটুকু এবং কতদিন গ্রহণযোগ্যতা পায় তা গুণে বলা আজ জ্যোতিষীর বিষয়। কিন্তু ভাঙনের শব্দ কান পাতলেই শোনা যায়। সেই ঢেউ আসছে, আসছেই।

তবুও সকল সংকটকে মোকাবেলা করে যোগ্যতমের জয় হোক, এই বিজ্ঞ বাক্যকে শিরোধার্য করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ এগিয়ে যাবে চল্লিশ, পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করার অভিপ্রায়ে। জানি, সে যাত্রা বড়ো বন্ধুর এবং হয়তো হতাশার। তবুও সংশপ্তক হলেও এগুতে হবে, এগিয়ে যেতেই হবে।

যাঁরা আমাদের এই বিরামহীন তিরিশের সহগামী, তাঁদের সবাইকে আমাদের অকুণ্ঠ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। সত্য ও সুন্দরের জয় হোক নিরন্তর, জয় হোক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের। জয় বাংলা।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়