প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০
বিষয়টি আশা জাগানিয়া

ইভটিজার ও কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব নিয়ে সকল গণমাধ্যমে সংবাদ দেখা যায় প্রায়শই, কিন্তু আইনের সীমাবদ্ধতায় এবং সাহসী অভিযোগকারীর অভাবে ব্যবস্থাগ্রহণের সংবাদ খুবই কম দেখা যায়। এমন বাস্তবতায় গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠার শীর্ষস্থানে দেখা যায় ‘স্কুলগামী মেয়েদের ইভটিজিং ॥ তিন বখাটের এক মাস করে কারাদণ্ড’ শিরোনামের একটি সংবাদ, যেটি অবশ্যই আশা জাগানিয়া বলে সকল পাঠকের কাছে মনে হয়েছে।
সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি স্কুলের তিন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা, অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও হুমকি দেয়ার অপরাধে হামানকর্দ্দি গ্রামের তিন বখাটের প্রত্যেককে এক মাস (৩০ দিন) করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৯ মে বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এ আদেশ দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীরা হলেন জুম্মান পাঠান, সিয়াম ও কাউছার। এর আগে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম নিজেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বখাটে ইভটিজার ওই তিন তরুণকে গ্রেফতার করেন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় জনগণ ও জেলা পুলিশের সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও বলেন, স্কুলগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা ও নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন একটি সামাজিক ও ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন, চাঁদপুর সদর নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, অপরাধীরা সাজাভোগ শেষে আলোকিত জীবনে প্রত্যাবর্তন করবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার হামানকর্দ্দি গ্রামের উপরোল্লিখিত তিন বখাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ওসি যেমন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, আমরা মনে করি তারচে’ বেশি ধন্যবাদ পেতে পারে যারা বখাটেদের ধরিয়ে দিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন। ইভটিজারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কিংবা তাদের প্রতিহত করতে হামানকর্দ্দি হতে পারে জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা চাই, ইভটিজার ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে এমনটি সর্বত্র সাহসিকতার সাথে দৃশ্যমান হোক।