শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০

নদীতে নিষিদ্ধ কাজে শিশু-কিশোরদের নির্বিচার ব্যবহার

অনলাইন ডেস্ক
নদীতে নিষিদ্ধ কাজে শিশু-কিশোরদের নির্বিচার ব্যবহার

মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় পাঁচ জেলেকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌথানা পুলিশ। এ সময় ৯০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। ২৫ মে শনিবার রাতে এসব তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান। আটকরা হলেন মোঃ সোবহান মিজি (৫২), ইয়া রাসুল (২০), মোঃ শামীম চৌকিদার (২২), মোবারক মিজি (১২) ও মুকবিল হোসেন (১০)। এদের বাড়ি জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়নে। ওসি কামরুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে মেঘনা নদীর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের শিলারচর নামক স্থান থেকে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরা অবস্থায় এই জেলেদের আটক করা হয়। ওসি আরো বলেন, আটকদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বাকি দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে নৌ থানা হেফাজতে আছে।

জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার্থে মেঘনা ও পদ্মাসহ আরো কিছু নদীতে অভয়াশ্রম চলাকালে কোনো ধরনের মাছ ধরা থাকে যখন নিষেধ, তখন একশ্রেণির অসাধু জেলে মাছ ধরতে নদীতে নামে, যাদের সঙ্গী হয় অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু-কিশোররা। ধরা পড়লে জেলেদের জেল-জরিমানা হয়, তবে মুচলেকার মাধ্যমে শিশু-কিশোররা অভিভাবকদের জিম্মায় ছাড়া পায়। মার্চ-এপ্রিল দুমাস উপরোল্লিখিত নদীগুলোতে জাটকা রক্ষার প্রয়োজনে ছিলো অভয়াশ্রম। সেটা শেষ হবার পর জেলেরা বৈধ জালে বৈধভাবে মাছ ধরবে-এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু অসাধু জেলেরা অবৈধ জাল ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে নদীতে নামে এবং নৌপুলিশ কিংবা কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ে। গত শনিবার চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরের শিলারচরে নৌপুলিশের হাতে ধরা পড়ে এমন পাঁচ জেলে, যাদের দুজনের একজনের বয়স ১০ বছর এবং আরেকজনের ১২ বছর। যে ঘটনায় চাঁদপুর কণ্ঠে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ছবিতে যে দুজন শিশু-কিশোরকে দেখা গেলো, তাতে পাঠকমাত্রই ব্যথিত হয়ে বলেছেন, নদীতে নিষিদ্ধ কাজে শিশু-কিশোরদের এমন ব্যবহার নিতান্তই নির্বিচারে করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক ও আপত্তিকর। সেজন্যে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলছি, শিশু-কিশোরদের অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর পর ধরা পড়লে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়াটা মেনে নিলাম যৌক্তিক, কিন্তু এ কাজে যাদের কারণে জড়ালো বলে তারা স্বীকার করবে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার বিষয়টি আইনে কি সংযোজন করা যায় না?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়