শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০

অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান হোক সর্বত্র

অনলাইন ডেস্ক
অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান হোক সর্বত্র

‘শাহরাস্তিতে কৃষিজমির মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা’--এটি চাঁদপুর কণ্ঠে বুধবারে প্রকাশিত সংবাদ। এই সংবাদে মঈনুল ইসলাম কাজল লিখেছেন, শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরকি গ্রামে ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি ধ্বংস করে মাছের ঘের বানানো হচ্ছিলো। ১৩ মে দুপুরে এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ঘুঘুরচপ গ্রামের মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০)কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০-এর আওতায় ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে অবৈধভাবে মাটি কাটার জরিমানা ও কারাদণ্ডটা একটু বেশি বলে মনে হয়। সেজন্যে এই আইনে যতো বেশি অভিযান চলবে, ততোই অপরাধীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। তবে এমন অভিযান সর্বত্র সমান মেজাজে হয় না। জেলা প্রশাসক তাগিদ বা নির্দেশ দিলে কড়া মেজাজে হয়, নয়তো অন্য মেজাজে তথা ঢিলেঢালাভাবে হয়। অদৃশ্য আপসকামিতায় অনেক স্থানেই অবৈধ মাটি কাটাকে দেখেও না দেখার ভান করা হয় এবং কারণ হিসেবে ক্ষমতাসীনদের/প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ/ পরোক্ষ প্রভাবকে জুজুবুড়ির ভয় হিসেবে মনে করা হয়। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকেও মূল্যায়ন করা হয় না।

অবৈধ মাটি কাটায় যতোটা না সাধারণ মানুষ জড়িত, তারচে’ বেশি মাটি ব্যবসায়ী ও একশ্রেণির ঠিকাদার থাকে জড়িত। অথচ নিরীহ প্রকৃতির মানুষই শায়েস্তা হয় বেশি। এজন্যে নানা কথা উঠে। এ কথাকে এড়ানোর তাড়নাও অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা/নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাঝে দেখা যায় না। এটা অবশ্যই সচেতন ও সুধী পর্যবেক্ষকদের পীড়া দেয়। কেননা এটা দুঃখজনক ও আপত্তিকর। এজন্যে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে কিছু জায়গায় কালেভদ্রে নয়, সর্বত্র অভিযান চালানো বাঞ্ছনীয়। ‘আইন সবার জন্যে সমান’ এমন আপ্ত বাক্যকে পুস্তকে ও মুখে না রেখে বাস্তবে এর যথার্থ প্রতিফলন না ঘটালে অবৈধ মাটি কাটা নয়, আরো অন্যান্য অবৈধ কাজও চলতে থাকবে ওপেন সিক্রেটভাবে। আমরা এমনটির টেকসই সমাধান চাই আইন প্রয়োগকারী সকলের সক্রিয়তা ও আন্তরিকতায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়