রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

বিলম্বিত শীত এবং কম্বল বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
বিলম্বিত শীত এবং কম্বল বিতরণ

এক সময় আমাদের দেশে মধ্য অক্টোবরের পরে শীত শুরু হতো এবং মধ্য মার্চে শেষ হতো। বছরের পাঁচ মাস শীত এবং বাকি সাত মাস গরম থাকতো। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অক্টোবর-নভেম্বরে তো নয়ই, ডিসেম্বরেও পূর্বের ন্যায় শীত অনুভূত হয় না। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যে হচ্ছে না, সেটা তো বলতেই হয়। গেলো ডিসেম্বরে গ্রামীণ জনপদে ও উত্তরবঙ্গে কম-বেশি শীত অনুভূত হলেও সামগ্রিকভাবে দেশের সর্বত্র তেমন শীত অনুভূত হয় নি। তবে ২০২৪ সালের প্রথমদিন তথা ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে শীত ঝেঁকে বসেছে। বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহানো ও রোদ পোহানোর দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে কম্বল সহ নানা শীতবস্ত্র বিতরণের সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ তেমন চোখে পড়ছে না। অবস্থা যেন এমন--বিলম্বিত শীত তো বিলম্বিত শীতবস্ত্র বিতরণ।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণেই মূলত বেসরকারিভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারছেন না। একই কারণে সরকারি কর্মকর্তারা কম্বলসহ নানা শীতবস্ত্র পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বিতরণ করতে পারছেন না বলে হয়তো অজুহাত দিতে পারেন। কথা হলো, এসব কারণ বা অজুহাত কি গ্রহণযোগ্য?

সরকারি পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় যদি সঠিকতা ও দূরদর্শিতা থাকতো, তাহলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই কম্বল সহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা যেতো। কিন্তু সেটা করতে দেখা গেলো না। গত বছর তো সংসদ নির্বাচনের মতো বড় কোনো নির্বাচন ছিলো না, তারপরও সরকারি শীতবস্ত্র বিতরণ চলেছে ফেব্রুয়ারিতেও। হয়েছে ফটোসেশন, ততক্ষণে শীত গুটাচ্ছিল তার পাততাড়ি।

আমাদের দেশের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তরগুলো দেশের সর্বত্র সমানভাবে সক্রিয় নয়। সেজন্যে শীতবস্ত্র বিতরণসহ অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পাদন করতে পারে না। অথচ এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে বলে মনে করি না। তবে এটা মনে করতে পারি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কম-বেশি ব্যর্থতা আছে। আমাদের কথা হলো, শীত শুরুর আগে যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়নপূর্বক প্রকৃত দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে সরকারি কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হোক। শীতের ব্যাপক প্রকোপ দেখে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী/ সমাজসেবক বা অন্য কেউ তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিতভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারে। তেমনটি কি সরকারি সংস্থাও করা ঠিক?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়