রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

৯ বছর পর চাঁদপুরে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ, তাও আবার রাজনীতিকের পৃষ্ঠপোষকতা!
অনলাইন ডেস্ক

কোনো পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম এতো বড়ো হয় না, যতোটা আজকে হয়েছে। আমরা পাঠকদের চাঁদপুরের ক্রিকেটের শুধু নয়, সামগ্রিকভাবে ক্রীড়ার বাস্তবতা বোঝাতে এমন বড়ো শিরোনাম দিতে বাধ্য হলাম। গত ২৬ নভেম্বর চাঁদপুর কণ্ঠে একটি সংবাদের শিরোনাম হয়েছে, ‘পৃষ্ঠপোষকতায় জাহিদুল ইসলাম রোমান : চাঁদপুুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ’। সংবাদটিতে চাঁদপুরের একমাত্র ক্রীড়া সাংবাদিক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম লিখেছেন, চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০২৩। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই লীগে অংশ নিয়েছে ৮টি দল।

গত ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে লীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু। ৯ বছর পর শুরু হওয়া এ ক্রিকেট লীগে ২টি গ্রুপে অংশ নিচ্ছে ৮টি দল। ‘ক’ গ্রপে রয়েছে--মাতৃছায়া ক্রিকেট একাডেমী, টিম ডাকাতিয়া, শেখ কামাল স্পোর্টস্ একাডেমী গ্রীন ও শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমী। ‘খ’ গ্রুপে রয়েছে--শেখ কামাল স্পোর্টস্ একাডেমী রেড, ক্রিকেট কোচিং সেন্টার জুনিয়র, অঙ্গীকার ক্রীড়া চক্র ও চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী ব্লুজ।

আমরা ‘বেটার লেট দ্যান নেভার’ সূত্রে চাঁদপুরে দেরিতে হলেও ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ শুরু হওয়ায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা চাঁদপুরের ক্রিকেটারদের জন্যে অবশ্যই সুখবর। তবে কিছু কথা বুকের ভেতর চাপিয়ে রাখা যায় না। সে কথার একটি হলো, ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ এতোদিন পর কেন? এতোটা বিলম্বের জন্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা কী অজুহাত দেবেন?

আমাদের কথা হলো, বিলম্বে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ, তাও আবার পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা নয়। পৃষ্ঠপোষকতা করছেন অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানের মতো একজন রাজনীতিক! রোমান অবশ্যই একজন স্বীকৃত ক্রীড়া সংগঠক। কিন্তু তাঁর এই পরিচিতি রাজনীতিকের চেয়ে বেশি নয়। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয় যে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এমন কী দীনতা, যেটার কারণে নিয়মিতভাবে ফুটবল ও ক্রিকেট লীগ চালাতে পারছে না? যদি ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়া চালানোর মতো নানা দীনতা, অর্থাভাব ও জনবল সঙ্কট কিংবা অন্য কিছু থেকে থেকেই থাকে, তাহলে সেটা জনসমক্ষে খোলসা করেই বলা উচিত। এমতাবস্থায় ক্রীড়ামোদীরা আসতে পারেন এগিয়ে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাড়িয়ে দিতে পারেন পৃষ্ঠপোষকতার হাত। কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থা অজ্ঞাত এমন কী জড়তা, জটিলতায় ভুগছে যে, নিজের কষ্ট, সমস্যা, সঙ্কট, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদির কথা বলতে পারছে না? এটা কি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত সেটা জানার অধিকারও কি কারো নেই?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়